বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বাঘায় সংবাদ সম্মেলন

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বাঘায় সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বাঘা মডেল প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগীরা হলেন,উপজেলার কিশোরপুর গ্রামের মৃত. আশরাফ আলীর ছেলে শিমুল ইসলাম ও একই গ্রামের চমৎকার আলীর ছেলে সুকচান্দ আলী ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিমুল ইসলাম বলেন, পাকুরিয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের হযরত আলী কর্তৃক আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের কৃত টাকা ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো, গত ০৮ মে (২০২৪) আমার অনুপস্থিতির সুযোগে মামলার বাদী হযরত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম সিঁধ কেটে আমার স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে। সে সময় আমার স্ত্রী চিৎকার করে লোকজন ডাকতে থাকলে রবিউল ইসলাম আমার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে এবং ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনায় আমার স্ত্রী বাদী হয়ে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২০০৩ আইনে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর থেকেই রবিউল ইসলাম এর পিতা হযরত আলী ও তার পক্ষের লোকজন আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে শাসিয়ে আসছেন এবং একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই আমার বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে করেছেন। অথচ ওই দিনে আমি ঢাকা নারায়ণগঞ্জে ছিলাম। সেখানে আমি ভাড়ায় রিকশা চালায়। যার প্রমাণ ওই গ্যারেজ মালিক সাইমন ইসলাম এর নিকট আছে। আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ২৭ জুলাই জে.এস পরিবহনে বাঘায় আসি। সে সময় আমার সাথে আরেকজন রিকশা চালক কুষ্টিয়ার জীবন হোসেন ছিলেন। শুধু আমার বিরুদ্ধেই না, ওই মামলার সূত্র ধরে আমার দুলাভাই শুকচাঁদ আলীর বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। তিনি একজন ভ্যান চালক। এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করলেই পাওয়া যাবে আমরা কেমন প্রকৃতির লোক। এর আগেও হযরত আলী আদালতে আমার বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা থেকে গত ৩০/৭/২০২৪ তারিখে আমি খালাস পেয়েছি। অথচ যিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন তিনি এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এ মামলার সাক্ষী রেজাউল ইসলাম তার মাদক ব্যবসার পার্টনার। আপনারা দয়া করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করে এ মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান পেতে আমাদের সহায়তা করুন। আমরা গরীব মানুষ, রিকশা-ভ্যান চালিয়ে জীবন ধারণ করি। মিথ্যা মামলায় পড়ে আমরা চরমভাবে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষায় আমরা প্রশাসনেরও সু-দৃষ্টি কামনা করে নিরপেক্ষ তদন্তের অনুরোধ করছি। যদি দায়েরকৃত মামলায় আমাদের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী যে শাস্তি হয় আমরা তা মাথা পেতে নিব।

এ বিষয়ে মামলার বাদী হযরত আলীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন টাকা ছিনতাই হয়েছে ২৪ জুলাই রাত্রি ৮ ঘটিকায়। তিনি মামলা দিয়েছেন ২৪ জুলাই। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনা ২৩ তারিখে ঘটে আমি ২৪ তারিখে মামলা করেছি। মোবাইলে এত কথা বলতে পারবো না। কিছু জানার থাকলে সাক্ষাতে আসেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page