শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে ! ফটিকছড়ি জনকল্যাণ পরিষদের পুনর্গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটি প্রথম সভা

রাজনগর ভয়াবহ বন্যায় রাকিব এন্ড সাকিব হাঁস ফার্মের দশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

রাজনগর ভয়াবহ বন্যায় রাকিব এন্ড সাকিব হাঁস ফার্মের দশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

এনামুল হক আল।মৌলভীবাজার

ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গেছে রাকিব এন্ড সাকিব হাঁস ফার্মের ৮ শতাধিক হাঁস,১ টি মাছের ফিসারী। ফার্মের বিদেশী জাতের ১১ টি গরু এখনও পানি বন্দি। ৮ নং মনসুর নগর ইউনিয়েনে বানারাই গ্রামের রেজিস্ট্রিকৃত বে-সরকারী রাকিব এন্ড সাকিব হাঁসের ফার্মের মালিকের ভেসে গেছে প্রায় ৮ শতাধিক হাঁস, হাঁটু পানিতে দাড়িয়ে আছে ১১ টি বিদেশী জাতের গরু। তালিয়ে গেছে ৪০ বিঘা আমন ধানের ফসলী জমি। ভেংঙ্গে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। জীবনের জমানো অর্থ সম্পদ হারিয়ে দিশাহারা বানারাই গ্রামের কৃষক খামার মালিক রেজাক মিয়া পুত্র জুয়েল মিয়া। পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সর্ষপুতা গ্রামে ছিল তার ১২০০ শত হাঁসের খামার, একটি ফিসারী,১১ টি বিদেশী গরু নিয়ে গরুর ফার্ম। আমন ধান রোপন করেন ৪০ বিঘা জমিতে। এটাই ছিল তার জীবন জীবিকা। জুয়েল মিয়া জানান, প্রতিটি হাঁসের মুল্য ৬৫০ টাকা করে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার হাঁস, বিঘা প্রতি আমন জমি ৩ হাজার ৫ শত টাকা করে ফসল রোপন করতে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ফিসারীর প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ সম্পূন্ন বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ফার্মের গরু রক্ষা পেলেও বিশুদ্ধ পানি আর খাবারের জন্য সুস্থ অবস্থায় নেই। কিছু হাঁস আটকানো গেলেও তাদেরও খাদ্য সংকট আর ঔষধের জন্য মারা যাচ্ছে।
পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সর্ষসুতা ও তার আশপাশ এলাকার মানুষ এখনও পানি বন্দি। বন্যা পরিস্থতি কিছুটা উন্নতি হলেও নিন্মাঞ্চল থাকায় এই এলাকায় পানি কমেনি। ক্ষুদ্র ঋন আর চড়া সুদে টাকা নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। রোপন করেছিলেন আমন ধান। বন্যার পানিতে সব তলিয়ে গেছে। জুয়েল মিয়া বলেন, সর্ষসুতা গ্রামে ১২ শত হাঁস, ১১ টি বিদেশী গরু দিয়ে ফার্ম করেছিলাম। সাথে একটি ফিসারিও করেছিলাম। হঠাৎ করে বন্যার পানি প্রবেশ করায় প্রায় ৮শত ৫০ টি হাঁস ভেসে যায়। তালিয়ে যায় আমার রোপন করা ৪০ বিঘা জমি। ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার একটি ফিসারি। বিদেশী জাতের ১১টি গরুর ফার্ম আছে। বন্যার শুরু থেকে গরু গুলো পানিতে দাঁড়িয়ে আছে। এগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার কোন সুজুগ নেই। বন্যার দুষিত পানিতে দাঁড়িয়ে গরু গাঁয়ে ফুস্কা পড়ে যাচ্ছে। হাঁস যে গুলো উদ্ধার করতে পেরেছি তাও খাদ্য ও দুষিত পানির কারনে মারা যাচ্ছে। সব কিছু হারিয়ে এখন যা অবশিষ্ট ছিল তাও শেষ হয়ে যাবে। আমাদের জন্য স্বল্প ত্রাণ পেয়ে জীবন বাঁচাতে পারলেও খাদ্যের ও ঔষধের অভাবে মারা যাবে গরু, হাঁস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page