বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, চাটখিলের সাহাপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ
সৈয়দ নুর আলম বাদশা
সম্পাদকঃ
দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ সংবাদ।
নোয়াখালী চাটখিলে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সব কটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা নিচু ইউনিয়ন গুলো বেশি প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা যে কয়টি ইউনিয়ন বন্যায় বেশি প্লাবিত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি ইউনিয়ন হচ্ছে ১ নং সাহাপুর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রাম রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও গ্রামের বাসিন্দারা হয়ে পড়ে পানিবন্দি। বন্যার শুরুর পর থেকে ইউনিয়নবাসির পাশে দাঁড়ান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ (খোকন পাটোয়ারী)।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, পানিবন্দি সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সেবায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেন তিনি। সরকারের দেওয়া খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়নের কয়েক হাজার পানিবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন খাদ্য সামগ্রী। এসব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চিড়া, মুরি,বিস্কুট, মোমবাতি, চাল, মসুর ডাল, তেল,আলু, লবণ,পেঁয়াজ। এছাড়া পানিবন্দি যেসব মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চায়নি তাদের তাদের মাঝে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়।
সরকারের দেওয়া চাউল তিনি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে পানিবন্দী মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। ইউনিয়নের সকল সদস্যগণ, বিএনপি,জামায়েত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি করে,তা বিতরণ করেন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ (খোকন পাটোয়ারী) ।
সাহাপুর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা হয়, দৈনিক নয়া বঙ্গবাজার পত্রিকার। চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ (খোকন পাটোয়ারী) প্রসঙ্গে তারা বলেন, আব্দুল্লাহ খোকন একজন সৎ আদর্শবান চেয়ারম্যান। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে তিনি এলাকাবাসীর পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন তা আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। দিনরাত ২৪ ঘন্টা তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজ খবর রাখেন। এলাকাবাসী বলেন,আমরা মহান আল্লাহর কাছে আমাদের চেয়ারম্যানের জন্য প্রার্থনা করি। আল্লাহ যেন তাকে দীর্ঘজীবী করেন।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ (খোকন পাটোয়ারী) বলেন, আপনারা জানেন, বন্যায় সাহাপুর ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার লোকজন খাবার নিয়ে ব্যাপক কষ্টে আছেন। দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে চলেছি। তিনি বলেন,বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পযর্ন্ত আমি আমার ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকব।