বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

নোয়াখালীতে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ বানের পানি কমছে ধীরগতিতে

নোয়াখালীতে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ
বানের পানি কমছে ধীরগতিতে

দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ, রিপোর্টঃ

প্রায় মাসব্যাপী বন্যায় নোয়াখালী চাটখিল ও সোনাইমুড়ি লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। বানের পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি বরং বাড়ছে। বিরন্দ্র, মহেন্দ্র, কচুয়া-বটতলি খালে প্রভাবশালীদের খালের উপর অবৈধ স্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণে বন্যার পানি আটকে যায়। পূর্বশিখা সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর গত কয়েক দিনে এসব খালে কিছু অংশে বাঁধ কেটে দেয়া হলেও এখনও অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তাই পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পানিবন্দী এসব মানুষ খাবার সংকট, ডাইরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বন্যায় এই চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলায় প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। বানের পানি কমতে শুরু করায় অনেকেই নিজের ঘর বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ঘরে ফিরা মানুষ বন্যার পানিতে ঘর বাড়ি মেরমত করতে হিমশিম খাচ্ছে। এদের মধ্যে গরিব ও অসহায়দের অবস্থা সূচনীয়। ঘরবাড়ি মেরামত করতে না পারায় অনেকেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।

সোনাইমুড়ি প্রকল্প কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান জানান বন্যায় সোনাইমুড়ি ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বানের পানি কমতে শুরু করায় মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এখনও ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। চাটখিল উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা পলাশ সমদ্দার জানান চাটখিলে ১৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে ছিল। বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে বাকিরা ঘরে ফিরে গিয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত চাটখিল উপজেলার শাহাপুর কাজী বাড়ির মরিয়ম বেগম (৪০) জানান প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে নিয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন। ঘরে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবেন চিন্তায় দিশে হারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। জানা যায় তার বসত ঘরটি সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ঘরটি সংস্কার না করা হলে বসবাস করা সম্ভব হবে না। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরে গিয়ে এখন খাদ্য সংকটে জীবন কাটাচ্ছেন এমন বহু মানুষ।

বন্যার পানিতে বেসে যাওয়া অসহায়দের পুর্নবাসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারের উদ্যেগ নেয়া প্রয়োজন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page