শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে ! ফটিকছড়ি জনকল্যাণ পরিষদের পুনর্গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটি প্রথম সভা

দুই মাসের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে মাঠে আসছে সেনাবাহিনী।অথই নূরুল আমিন

দুই মাসের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে মাঠে আসছে সেনাবাহিনী।অথই নূরুল আমিন

মোহাম্মদ রুস্তম আলী কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

সেনাবাহিনীর কি কাজ আছে মাঠে? কেনই বা দুই মাসের বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো সেনাবাহিনীকে। এর পিছনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কি কোনো উদ্দেশ্য আছে? এর মধ‍্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেনই বা বললেন। “আমাকে দু বছরের সময় দিন। সমগ্র দেশ আমি উন্নত করে দেব “। তবে এসকল বিতর্কে না যেয়ে। সবার আগে বিচারিক ক্ষমতা প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে আমরা মিডিয়া কর্মীরা স্বাগত জানাই।
তবে জনগণের কাছ সঠিক তথ‍্য পেতে সেনাবাহিনীকে অবশ্যই অভিযোগ বক্স অথবা অভিযোগ মোবাইল নম্বর অথবা সেনাবাহিনী ক‍্যাম্প স্থাপন করলে আরো বেশি ভালো হয়। তাহলে দেশের শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে আরো সহজ হবে। এবং সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা সফল হবে বলে আমরা মিডিয়া কর্মীরা মনে করি।

যাক সে কথা। প্রসঙ্গ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী দুই মাসের জন‍্য বিচারিক ক্ষমতা পেয়েছে। এর মেয়াদ হয়তো আরো বাড়ানো হতে পারে। সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে মূলত অসৎ মানুষ গুলোর বিচার করার জন‍্য। এককথায় যারা অন‍্যায় করেছে। করছে বা আগামী দুই মাস করবে। তাদের বিচার করার ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। আমরা মানুষ হিসাবে সবাই ভালো এবং সৎ থাকলে, সেনাবাহিনীর হয়তো এই কষ্ট করতেই হতো না।

প্রশ্ন থাকে যে, আমাদের দেশে অসৎ কারা বা কি ধরনের অন‍্যায় করলে সেনাবাহিনী তাদের বিচার করবে? এর উত্তর একেবারে সোজা, অবৈধভাবে টাকা আয় করা, সরকারি যেসকল কর্মকর্তারা ঘুষ বাণিজ্য করেছে বা এখনো যারা করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক, যারা রডের বদলে বাঁশ, ইটের বদলে মাটি, সিমেন্টের বদলে বালু এবং কাজে বিলম্ব অথবা গাফিলতি সহ ইত্যাদি দুর্নীতি।

বিগত পনেরো বছরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী,এমপি, জেলা/ উপজেলা নেতানেত্রী, মেয়র,উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান বা মেম্বার যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত আছে । তাদের বিচার নিশ্চিত করা।

এদিকে ৫ আগষ্টের পর থেকে রাতারাতি আরেক গ্রুপ অন‍্যের জমি দখল, অন‍্যের ব‍্যবসা দখল। বিভিন্ন স্পটে চাদাবাজী এবং মারামারির ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে। এছাড়া ব‍্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙ্গার একটা পায়তারা সেনাবাহিনী করবে। সেনাবাহিনীর এই অভিযান, যদি নিরপেক্ষ অভিযান পরিচালিত হয়। সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীকে সাধুবাদ জানাবে। তবে আমরা চাই দেশের অসৎ ব‍্যবসায়ী। অসৎ ঠিকাদার, অসৎ প্রকৌশলী অসৎ আমলা থেকে শুরু করে অসৎ নেতানেত্রী সবাই বিচারের আওয়ায় আসুক। দেশের সৎ এবং অসহায় মধ‍্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের সকল মানুষেরা নিরাপদে থাকুক।

অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page