আহাম্মদপুরের বসত ঘর ভাংচুর, হামলায় আহত-৪
মোঃআবু ইউসুফ চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।।
চরফ্যাশনের আহাম্মদপুরের হাজিরহাট বাজারে ইয়ামিন মীরের বসত ঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গৃহকর্তা ইয়ামিন মীর সহ ৪জন আহত হয়েছেন। আহতদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় এহামলার ঘটনা ঘটলেও সোমবার রাতে হাসপাতালে সংবাদকর্মীদের ডেকে চিকিৎসাধীন ইয়ামিন মীর তার বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়ামিন মীর ও আল আমিন মীর অভিযোগ করে বলেন, তাদের এলাকার জাবেদ, জাহিদ, নিরব, বিপ্লব কালু, হাছান বাবু, মনির ও নাসিম প্রথমে হাজির হাট বাজারের (উপরে বাসা নিচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) তাদের ভবনের থাই গ্লাস ভাংচুর করে। এসময় আল আমিন মীর,রফিক মাষ্টার ও রিয়াজ মীর বাঁধা দিলে তারা রিয়াজ মীরকে পিটিয়ে আহত করে। ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাবলু মাষ্টার রিয়াজ মীরকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এঘটনার আধা ঘন্টা পর হামলাকারীরা ৩০-৩৫ জন লোকসহ মিছিল নিয়ে এসে ফের ইয়ামিন মীরকে বেদরক মারধর করে তাকে গুরুতর আহত করে। হামলাকারীদের মধ্যে জাবেদ, বিপ্লব ও জাহিদ নামের তিন জনকে চিনেন বলে ইয়ামিন মীর জানান। আল আমিন মীর বলেন, হামলাকারীরা তার ভাই ইয়ামিন মীরকে পিটিনোর পর তাকে এবং তার চাচা আবুল কালাম মীরকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তারা আমাদের পুরো ভবনের থাই গøাস ভাংচুর করে এবং একটি মটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় মোসলে উদ্দিন মেম্বার ও বাবলু মাষ্টারের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আমাদেরকে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। হামলার শিকার ইয়ামিন মীর ও আল আমিন মীর বলেন, আমরা এবং আমাদের গোটা পরিবার বিএনপি করি। যাহারা আমাদের উপর হামলা করেছে তারাও বিএনপি করে। কিন্তু কি কারণে কেন আমাদের বসত ঘর ভাংচুর করা হয়েছে এবং আমাদের উপর এই অমানুষিক হামলা করা হয়েছে তা আমরা জানিনা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা ।
অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
দুলারহাট থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।