শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে ! ফটিকছড়ি জনকল্যাণ পরিষদের পুনর্গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটি প্রথম সভা

কলেজে অনুপস্থিত থেকেও বেতন উত্তোলনের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

কলেজে অনুপস্থিত থেকেও বেতন উত্তোলনের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

এম এ আলিম রিপন, সুজানগর :

পাবনার সুজানগর উপজেলার সরকারি ডাঃ জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকায় কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম,আর্থিক সক্ষমতা, আইনশৃঙ্খলা পরীক্ষা:অভ্যন্তরিন ইনকোর্স পরীক্ষা,পাবলিক পরীক্ষা,ফরম পূরণ,রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ও পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট তারিখ হতে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বিনা ছুটিতে অদ্যবধি কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং কোন শিক্ষকের উপর দায়িত্বভার অর্পণ করেননি । তবে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ঠিকই ভোগ করছেন।

জানাযায়, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি ১৯৯৫ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ৩৫০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত এবং ৭০ জন শিক্ষকসহ সর্বমোট ৭৮ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।

কলেজের প্রদর্শক আব্দুর রহিম জানান, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ কলেজের আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারণ করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। এবং বিনা ছুটিতে কলেজে না এসেই নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর এখন পর্যন্ত তিনি কলেজে অনুপস্থিত।

কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ স্যার না থাকায় ফরম পূরণ,রেজিষ্ট্রেশন, প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্য হচ্ছে আমাদের।

সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মোবাইল ফোনে জানান, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা ছুটি পাওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর তিনি একটি আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম জানান, কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্তকাজ শেষ করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন অতি দ্রুতই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page