সচিবালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৬ জনকে কারাগারে
মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রতিনিধি বাংলার মুক্ত কন্ঠ, ফরিদপুর,পাবনা। এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ২৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম বেলাল হোসেন। কারাগারে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-জহিরুল ইসলাম,ফয়সাল হাসান,রায়হান হোসেন,রুবেল আহাম্মেদ,রিয়াদ মাহমুদ মেজবাউর রহমান মিল্লা,মেহেদী হাসান,সোহান,ইমরান হোসেন আরমান,মেহেদী হাসান অন্তর,সাগর,রোহান, শাহরিয়ার হোসেন,আহাদ মোল্লা,সোহান,মাসনুন,নাঈম, ইমাম হাসান,শাকিল,সেলিম,সাকলাইন মুস্তাক হানজালাল
মশিউর রহমান,প্রান্তিক,তাছিম রহমান ও রবিন মিয়া। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন শাহবাগ থানার এসআই ইকরামুল হক। আর আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন,সচিবালয় থেকে ৫৪ জনকে আটক করা হয়। ২৮ জনকে ছেড়ে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হত্যাচেষ্টা বাদে সবগুলো ধারা জামিনযোগ্য। তখন বিচারক জানতে চান,যাদের আটক করা হয়েছে-তাদের ছাড়েননি কেন? উত্তরে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন,তাদের গার্ডিয়ান যেতে না পারার কারণে ছাড়েনি। তখন আদালত জানতে চান,তারা কেন সচিবালয়ে গিয়েছিল? আইনজীবী বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখেছি,এইচএসসির ফল বাতিলের জন্য গিয়েছিল। তখন বিচারক বলেন,যারা ফেল করেছে, তাদের রেজাল্টশিট দেখান। তখন কয়েকজন আইনজীবী বলেন,তাদের আসামি পাস করেছে। এসময় বিচারক বলেন,ফেল না করলে সেখানে গিয়ে কাজ কী। আইনজীবীরা বলেন, বন্ধুদের জন্য গিয়েছে। বিচারক বলেন,কয়েক দিন হাজতখানায় থেকে আসুক। জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বুধবার দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তারা সেখানে‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’উই ওয়ান্ট জাস্টিস’মুগ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র’আপস না সংগ্রাম,সংগ্রাম-সংগ্রাম’ইত্যাদি স্লোগান দেন। সেখানে দায়িত্বপালনরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা সরে না যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এসময় তাদেরকে লাঠিপেটাও করা হয়। বিকাল ৪টার দিকে তাড়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে ৫৪ শিক্ষার্থীকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের মধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা,পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া,পুলিশকে হত্যার চেষ্টা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।[1]