বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

মনোহরদীতে স্কুল ছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন

মনোহরদীতে স্কুল ছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন

মো.এমরুল ইসলাম,ষ্টাফ রিপোর্টার,নরসিংদীঃ
নরসিংদীর মনোহরদীতে খালার বাড়িতে স্কুল ছাত্রী আনিকা আলমকে (১৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এই হত্যার রহস্যের কথা জানান তার খালা পাপিয়া আক্তার (৪৫)।

আহত পাপিয়ার জ্ঞান ফিরলে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অর্পার সঙ্গে পরিচয় হয় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শাহজাহান কিবরিয়ার ছেলে সৌদিপ্রবাসী শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিনের। অর্পাকে তার (ফারদিন) সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে অনুরোধ করেন। কিন্তু পাপিয়া বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না।

সোমবার কুলাউড়া থেকে মনোহরদী অর্পার বাসায় আসে শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিন। ওই সময় অর্পা বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং ক্লাস করতে নরসিংদী ছিলেন। বাসায় ছিলেন তার মা ও খালাতো বোন আনিকা আলম। দুপুরে রান্না করে ফারদিনকে খাওয়া-দাওয়া করানো হয়। পরে বিশ্রাম শেষে পৌনে ৪টার দিকে অর্পাকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ফারদিনের। এক পর্যায়ে ফারদিনের ব্যাগে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে পাপিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

তার চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা আনিকা তার খালাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে। এ সময় তাকেও কোপানো হয়। গলা কেটে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই আনিকার মৃত্যু হয়। পরে পাপিয়া বাসা থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় হত্যাকারী ফারদিন পালিয়ে যায়।

পাপিয়াকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার মনোহরদী পৌর শহরের সরকারি কলেজ সংলগ্ন আব্দুস সাত্তার মাস্টারের বাসায় এই হত্যাকাণ্ড হয়। আনিকা বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের পশ্চিম পোড়াদিয়া গ্রামের শাহাজাদা নূর আলমের মেয়ে। সে খালার বাসায় থেকে কৃষ্ণপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত।

মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.জুয়েল হোসেন বলেন,ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বাবা শাহাজাদা নূর আলম বাদী হয়ে শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page