শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে ! ফটিকছড়ি জনকল্যাণ পরিষদের পুনর্গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটি প্রথম সভা

নড়াইলে চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

নড়াইলে চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

মো.রাসেল শেখ,জেলা প্রতিনিধি নড়াইল: নড়াইল: নড়াইলে সাহেব আলী ফকির হত্যা মামলায় আপন দুই ভাই খলিল ফকির ও মারুফ ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা,অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক মো.শাজাহান আলী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। এসময় আসামি খলিল ফকির আদালতে হাজির থাকলেও মারুফ ফকির পলাতক রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি খলিল ফকির ও মারুফ ফকির জেলার কালিয়া থানার হামিদপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত শাহাদত ফকির ওরফে শাহা ফকিরের ছেলে । জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তারিকুজ্জামান লিটু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বিবরণে জানা যায়,২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর সকালে বাদীর ভাগ্নে সাহেব আলী ফকির ও রবিউলকে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সংবাদ পেয়ে বাদী তার ভাগনের বাড়ি কালিয়া থানার রাজাপুর গ্রামে উপস্থিত হন এবং মাথায় ও কোমরে রক্তাক্ত অবস্থায় ভাগ্নে সাহেব আলী ফকিরকে বাড়ির উঠানে ও ভাগ্নে রবিউলকে বাড়ির পূর্ব পাশের আঙিনায় পড়ে থাকতে দেখেন। বাদী তার ভগ্নিপতি ইমরান ফকির এবং তার বোন শাহিদা বেগম ও ভাগনি জনিদের কাছে জানতে পারেন,তার ভগ্নিপতি ইমরান ফকিরের সঙ্গে তার বড় ভাইয়ের বাড়ির জমিজমা নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে খলিল ফকির,মারুফ ফকিরসহ আসামিরা তার দুই ভাগ্নেকে কুপিয়ে জখম করে। পরে সাহেব আলী হাসপাতালে গিয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সাহেব আলী ফকিরের মামা বিশ্বাস আজিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই কালিয়া থানায় ১৩জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন! বিচারিক আদালত ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি খলিল ফকির ও মারুফ ফকিরে বিরুদ্ধে আনীত সাহেব আলী ফকির হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। মামলার অন্য আসামি ইকতার ফকির,আফজাল ফকির,করিম ফকির, জমির ফকির,উজির ফকির,আমানত ফকির,আজম ফকির,কেরামত ফকির,জেবারত ফকির,কবির ফকির ও নবীর ফকিরদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page