আত্মগোপনে আবুল কালাম আজাদ ভোটকারচুপির মাধ্যমে হয়েছিলেন জামালপুর সদরের এমপি।
জাহাঈীর আলম জামালপুরঃ
জামালপুর সদর আসনের সদ্য সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে ফাটল ধরানোর মূল কারিগর হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে একমাত্র তার কারণেই।
তিনি ভোট পাওয়ার আশায় ছিটিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় টাকা ছিটানের পরেও জনগণের মন জয় করতে পারেননি তিনি অবশেষে ভোট ডাকাতির মাধ্যমেই জয় হয় আবুল কালাম আজাদের।
তিনি নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়। দেশের বাহিরে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি ঘর বিলাসবহুল গাড়ি, ঢাকাতেও রয়েছে কয়েকটি আলিশান ফ্ল্যাট। সবসময়ই তিনি ও তার সাথে থাকা ক্যাডার বাহিনীরাও যাতায়াত করে বিলাসবহুল গাড়িতে।
জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদের পক্ষে তাকে এমপি বানানোর জন্য কোটি কোটি কালো টাকা নিয়ে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছিল দেশের কয়েকটি শিল্প গ্রুপ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করীম রেজনুকে পরাজিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেন আবুল কালাম আজাদ। খরচ করেন কোটি কোটি টাকা। ঈগল প্রতিকের প্রার্থী রেজনুর জনপ্রিয়তা দেখে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে প্রতিদিন গান বাংলার তাপস ও তার দলকে নিয়ে এসে বিভিন্ন এলাকায় কনসার্ট করেন। সাবেক এই আমলা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ... পুলিশ প্রশাসনকে নগ্নভাবে মাঠে নামিয়ে ছিলেন ঈগলের প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর বিরুদ্ধে। আবুল কালাম আজাদ শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নীরবে কেঁদেছেন। মুখ খোলার সাহস পান নি। সেই থেকেই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের ভাঙ্গন ও হতাশা শুরু হয়। আওয়ামী লীগের ঘাঁটিখ্যাত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নেন নিজ দল থেকে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক এই দুর্নীতিবাজ আমলা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে হয়েছিলেন এমপি নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড় কোটি কোটি টাকা ছিটানোর পরেও মন জয় করতে পারেনি সাধারণ মানুষের
সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ দলীয় কার্যালয়ে বসে জামালপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলার জন্য তার ক্যাডারদের প্রকাশ্যে নির্দেশনা দেন।
৫ আগস্ট থেকে সাবেক দুর্নীতিবাজ এই সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছেন। নেই তার ভেরিফাইড ফেইসবুকে পেইজে কোন প্রচারণা। নেই তার কোন দেখা। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছেন বলে তার ঘনিষ্ট সূত্র দাবি করছেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেই দেশের বিদ্যুৎ খাত সহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল বড় বড় প্রকল্পের দুর্নীতির উৎস খুঁজে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন জামালপুর সদরবাসী।