ফুলবাড়ী দাদুল চকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল।।
মোঃ ফয়জার রহমান দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী দাদুল চকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নবীউল আলম বিশ্বাসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
মিছিলটি শুরু হয় ২৭শে আগস্ট বেলা ১১:৩০মিনিটের দিকে। মিছিলটি আটপুকুর হাট ঘুরে এসে শেষ হয় দাদুল চকিয়াপাড়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
নিয়োগ বাণিজ্য থেকে অনেক অনিয়ম তুলে ধরেন ছাত্র-ছাত্রীরা
সকল শিক্ষার্থীদের মতামত থেকে জানা গিয়েছে, অন্যান্য স্কুলের তুলনায় আমাদের বিদ্যালয়ের প্রেতিবছর পরিক্ষা ফি বেশি পরিমানে নেওয়া হয়, যা সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে দেওয়া কণ্ঠ দ্বায়ক হয়ে যায়।
বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী বিদ্যালয়ে মেয়েদের বেতন গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ে মেয়েদের বেতন চালু করা হয়েছে। এ কারণে গরিব শিশক্ষার্থী এবং যারা উপবৃত্তি প্রাপ্ত নয় তাদের পক্ষে বেতন দেওয়া কন্ঠকর হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। যার ফলে এই প্রচন্ড গরমে আমাদের গরম পানি পান করতে হচ্ছে। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা অনেকবার প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো উদ্যেগ গ্রেহন করেন নি। " মূলত যখন আমরা প্রথম বিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন ভর্তি নি এবং সেশন গ্রেহন করা হয়। কিন্তু আমাদের
বিদ্যালয়ে প্রতিবার এক শ্রেনী থেকে অন্য শ্রেনীতে উত্তিন বৃদ্ধ হওয়ার সময় অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও সেবাদ গ্রহন করা হয়।
* কিছুদিন আগে সরকার এর পক্ষ থেকে দরিদ্র্যে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ৭৫ লক্ষ টাকার শুধু "Fund এসেছিল। কিন্তু তিনি এই সকল টাকা কোনো দরিদ্র শিক্ষার্থীকে দেননি।
ডা তথ্য ও প্রযুক্তির উপর নির্ভর করেই তৈরি করা হয়েছে আমাদের এই নতুন কারিকুলাম।
কিন্তু আমাদের স্কুলে ল্যাবের ব্যবস্থা থাকলেও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের কোনো ব্যবস্থা নেই। এর ফলে আমর ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেন না।
ওয়াসরূম আমাদের বিদ্যালয়ে থাকা সর্তেও, এটি পরিক্ষার, করা হয় না। এর ফলে এটি সবসময় নোংরা থাকে। টয়লেট ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা শারিরীক অসুস্থতায় ভোগে। এই বিষয়ে তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেন না।
আমাদের প্রধান শিক্ষক নিওমিত বিদ্যালয়ে উপস্তিত থাকেন না, যদিও তিনি স্কুলে আসেন কিন্তু সময় মত নয়।
আমদের বিদ্যালয়ে প্রায় শিক্ষার্থী মুসলমান-কীন্তু আমাদের বিদ্যাল কোনো নামাজ আদায় করার এবং নির্দিষ্ট ওযু করার নির্দিষ্ট কোনো স্থানের তিনি ব্যবস্থা করে দেন না শীক্ষার্থীদের। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত নামাজ আদায করতে পারেননা। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেননি।
আমরা সকলে লক্ষ করেছি যে আমাদের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে বিনাকারনে অন্যান্য শিক্ষকদে
বকা ঝকা এবং অসহভন আচারন করে থাকেন।
যা শীক্ষকদের শ্রেনী কক্ষে গিয়ে ক্লাস নেওয়ার মানসিকতা নষ্ঠ করে।
আরো অনেক অনিয়ম আছে যা বলে শেষ করা যাবে না।
এখন আমাদের একটাই দাবি আমাদের প্রধান শিক্ষকের আমরা পদত্যাগ চাই উনি যতদিন না পদত্যাগ করবে ততদিন আমরা ক্লাস করব না, এবং উনি যতদিন না পদত্যাগ করবে ততদিন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।