ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযে গণপিটুনিতে ছাত্র লীগ নেতা খুন!
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ-
দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ সংবাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সামনে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ছাত্র লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে।
শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ঘটনাটি ঘটেছে আমি শুনেছি।
ওসি মনসুর জানান, “ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে কী-না, তা তদন্তের পরে বোঝা যাবে। কারণ, তখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।” মনসুর আরও জানান, নিহত ব্যক্তিকে মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেয়া হয় বলে শুনেছি।
তবে, এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয় নি বলে জানান তিনি।
নিহত তোফাজ্জলের মরদেহ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ পিটুলিতে খুন হওয়া তোফাজ্জল হোসেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। সে বেশ স্বজ্জন, পরোপকারী ও নেতৃত্বগুন সম্পন্ন ছাত্রনেতা ছিলেন বলে জানা যায়। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারায় নিহত তোফাজ্জল। কিছুদিনের মধ্যে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে তোফাজ্জলের মা, বাবা ও একমাত্র বড় ভাইও মারা যান। এতে তোফাজ্জল পরিবার ও অবিভাবক শুন্য হয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত ৩/৪ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরে হয়ে ঘুরেছে ! গতকাল ভবঘুরে হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের সামনে ঘুরতে গেলে কথিত বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা তাকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে আটক করে। আটক পরবর্তী তাকে বেধরক পিটুনি দেয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কথিত শিক্ষার্থীরা। গণপিটুনির পর তাকে হলে নিয়ে খাবারও খেতে দেওয়া হয়। খাবার খাওয়ার পারে ছাত্ররা তোফাজ্জলকে নির্মমভাবে খুন করলো। পরে তারা মৃত্যুর দায় এড়াতে সুকৌশলে তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তারা সটকে পড়ে। একই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন ছাত্র লীগের নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করায় দেশের সাধারণ মানুষের মনে আতংক বিরাজ করছে।