নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
মোঃ আলী আশরাফ ইলিয়াস
নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
........................................
সম্প্রতি বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরে এবং ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় বন্যার কারণে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি ক্রমেই নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। শেরপুর জেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৫,০০০ মানুষ ইতিমধ্যে গৃহহারা হয়েছেন, যা এই অঞ্চলে বন্যার ভয়াবহতা বোঝায়। এর সাথে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা মিলিয়ে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত নামতে পারে, তবে বন্যার কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় যে ক্ষতি হয়েছে তা স্বাভাবিক হতে অনেকটা সময় লাগবে। যেসব পরিবার স্বচ্ছল এবং সক্ষম, তারা হয়তো নিজেদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারবে, তবে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান তার ফেসবুক প্রোফাইলে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, "বন্যাকবলিত ব্যক্তির যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। পর্যাপ্ত ত্রাণ এবং খাবারের মজুদ রয়েছে। অস্থায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।" এটি স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে পুনর্বাসনের চ্যালেঞ্জ দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।
বন্যার পরে পুনর্বাসনের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অনেক স্বচ্ছল পরিবার ঘরবাড়ি মেরামত করতে সক্ষম হবে, স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তাদের জন্য রাষ্ট্রের সাহায্য এবং পুনর্বাসন অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে এইসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জীবনযাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়।
বন্যার ফলে নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। প্রশাসনের তৎপরতায় প্রাথমিক সহায়তা ব্যবস্থা থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।