বাংলাদেশে এগুলো কি হচ্ছে ? দেশের জনগণ জানতে চায়।
----------------------------------------------
প্রাচীনকাল থেকেই দেখে ও শুনে আসছি,ধর্ম যার যার,, উৎসব ও তার তার ( নিজস্ব).. কিন্তু ইদানিং কালের তথা কথিত কিছু বুদ্ধিজীবী ও স্যেকুলার বলে বেড়াচ্ছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার !! তাহলে কি দেশে নিজেদের ধর্মীয় উৎসব বলতে কিছু নেই ?? বিষয়টি জনগণ কে ভীষণ ভাবিয়ে তোলে। যদিও দেশের ৯০% জনগণ মুসলিম । তবুও আমাদের বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত। এখানে ধর্ম যার যার উৎসব সবার বলতে কি বুঝায় ? ধর্ম টা কি সার্বজনীন হয়ে গেছে ? না হলে নিজের ধর্মীয় উৎসবে কেন সকলকে টেনে আনতে হবে।এটা ব্যক্তি স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ নয় কি ?? সংবিধানে ব্যক্তি স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করাকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।তা হলে আমরা কি করছি !? এবার নূতন একটি অভিজ্ঞতা জনগণ সঞ্চয় করেছে,,তা হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গা পূজায় মন্দিরে গিয়ে জামায়াতে ইসলামী লোকজন গীতা পাঠ করছেন। আবার কিছু জায়গায় মন্দিরে ইসলামী গজল পরিবেশক করছেন তারা ! আবার কিছু জায়গায় নিয়ে মন্দিরে দোয়া পড়ে মোনাজাত করছেন।এটা কিসের আলামত ?? শুধু'ই কি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষকে ভৃভ্রান্তিতে ফেলা নয়তো ? হা য় যে, ক্ষমতা নাকি খে ম তা । তবে দেশের জনসাধারণ আগের মতো আর বোকা নেই।তাই সবিনয়ে বলছি, সাধু সাবধান !! এগুলো করতে যাবেন না। আল্লাহ পাক সকল ক্ষমতার মালিক। তিনি যাকে পছন্দ করবেন তাকে ক্ষমতায় পাঠাবেন। যাকে অপছন্দ করবেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন।অতীত ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। একজন সত্যিকারের মুসলিমের কাছে অন্য ধর্মের লোকজন নিরাপদে থাকবেন।এটা ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু ইসলাম ধর্ম কে পুঁজি করে ধর্মের নামে ব্যবসা করা হারাম।আমি নেহাত একজন সাধারণ মানুষ। তাই ঞ্জানের পরিধি এতটা বিস্তৃত নয়। তবে আলেম ওলামাদের কাছে শুনেছি ধর্ম কে পুঁজি বানিয়ে ধর্মের নামে ব্যবসা করা হারাম। আমাদের প্রিয় জামায়াতের ইসলামীর ভাইদের বলছি,যদি আপনারা এসব করেন তাহলে জনগণের কাছে আপনাদের শ্রদ্ধার জায়গাটা হারাবেন।আর যদি অন্য কেউ আপনাদের ব্যানারে এগুলো করে থাকে, তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে তুলে দিন। আপনাদের রেপুটিশান নষ্ট করার জন্য তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন।তা না হলে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।