বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই
রিপোর্টঃ-দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ,সংবাদ পত্রিকা।।
বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের প্রাচীনতম,ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ফ্রান্স আওয়ামী লীগ।
এক যুক্ত বিবৃতিতে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েছ জানাচ্ছেন,দেশ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অবৈধ সরকার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অপশক্তির মদদে,ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অদ্য ২৩ অক্টোবর ২০২৪,বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বর্তমান অসাংবিধানিক,অবৈধ এই ইউনুস সরকারের অপচেষ্টার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো যাচ্ছে। বিবৃতি স্পষ্ট করে জানানো যাচ্ছে,ব্রিটিশ পরাধীনতার কবল থেকে মুক্ত হয়ে পাকিস্তানি পরাধীনতায় প্রবেশের এক বছরের মাথায় সময়ের প্রয়োজনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।বাংলা ভাষা,স্বাধীনতা,গণতন্ত্র,সাম্য ও মানবিক মর্যাদায় যুগে যুগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে লড়াকু ইতিহাস। ৫২ র ভাষা আন্দোলন,৬২’র শিক্ষা আন্দোলন,৬৬’র ছয়দফা,৬৯’র গণঅভ্যুত্থান,৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব ও আত্মদান থেকে শুরু করে পরবর্তীতে জনগণের সকল আন্দোলনেও যুগপৎ স্রষ্টা হিসেবে ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এছাড়াও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ,সাম্য-মানবিক ও কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র বিনির্মাণে সোচ্চার থেকেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শুধু তাই নয়,৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের উত্তোরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ এর অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। ইতিহাসের সাধারণ পাঠক মাত্রই জানেন,বাংলা ও বাঙালির যা কিছু সোনালি অর্জন তার সবকিছুরই গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিবৃতিতে আরও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে,ছাত্রলীগের ইতিহাস,বাংলাদেশের ইতিহাস
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করার জন্য। ছাত্রলীগ সবসময় ভালো কিছু সৃষ্টি করে গেছে। যে শক্তি সৃষ্টি করে,সে শক্তি অবিনশ্বর। ছাত্রলীগ অবিনশ্বর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায়,উপজেলায়,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।