মনোহরদীতে জমির জবর দখল নিয়ে প্রাণনাশের হুমকী থানায় অভিযোগ
ষ্টাফ রিপোর্টার,নরসিংদীঃ।। নরসিংদীর মনোহরদীতে জমির জবর দখল নিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের গোলমামুদ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে একই গ্রামের আঃ রহিম,আবুল হোসেন,রুবেল মিয়া,মজিবুর রহমান,রুমা আক্তার,দেলোয়ারা বেগম,নুরুমিয়াকে বিবাদী করে মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিবাদীগণ একই গ্রামের বাসিন্দা এবং পরস্পর আত্মীয়। পারিবারিক সুত্রে প্রাপ্য জমির জবর দখল নিয়ে প্রতিপক্ষ আঃ রহিম গং এর পরিবারের লোকজন বেশী থাকায় ভুক্তভোগী পরিবারের এর কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি আঃ রহিম গং জবর দখল করে নেওয়ার পায়তারা করে আসছে। এ জমি নিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম্য শালিস হয়েছে। এতে বিবাদী আঃ রহিম গং কোন দরবার ই মানেনা। উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয় টি নিয়ে আপোষ মিমাংসার জন্য ইউপি মেম্বারের সহ যোগিতায় গত ৩ আগষ্ট সকাল ১০ টায় এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ উভয় পক্ষ কে নিয়ে গ্রাম্য শালিস বসে। উক্ত শালিস চলা কালিন সময়ে শালিসের রায় না মানিয়া বিবাদী আঃ রহিম গং বাদী পক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান,সজিব মিয়া,সুবেল মিয়া,হাবীবের স্ত্রী আমেনা বেগম,হাবিবুরের ছেলে সৌরভসহ আরো অনেকের উপর রহিম গং ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করিতে আসিলে উভয় পক্ষের মাঝে হাতা হাতিরবিবাদীদের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনা কে অতি রঞ্জিত করিয়া সু কৌশলে বিজ্ঞ আদালতে বিবাদী একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এবং পরবর্তীতে আবার ও জমি ও উক্ত মামলা নিষ্পত্তি মিমাংসার জন্য গত ১২ অক্টোবর বেলা ৩ ঘটিকায় চর গোল মামুদ গ্রামের জামে মসজিদের সামনে গ্রাম্য শালিস দরবার বসে। দরবারীগণ বিবাদী আঃ রহিম গং এর কাছে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা করার বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করিলে,আঃ রহিম গং উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার অকথ্য ভাষায় দরবারী সহ সবাই কে গালি গালাজ করিতে থাকে এবং ভুক্ত ভোগী পরিবার হাবিবুর এর লোকজনদের উপর দেশীয় অস্ত্রে লাঠি সোটা, লোহার রড,দিয়ে বেদরক পিটাইতে থাকে,এর মধ্যে দরবারী লোকজন ও সজিব এসে থামানোর চেষ্টা করিলে সে ও আঘাত প্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এ সময় বাবা-মাকে বাঁচাইতে তাহার ছেলে সৌরভ মিয়া আগাইয়া গেলে বিবাদী আঃ রহিম এর পক্ষের রুবেল মিয়া লাঠি দিয়ে সৌরভ কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে সে তার বাম হাত দিয়ে আঘাত ফেরানের সময় বাম হাতের তালুতে দা,এর আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে উপস্থিত দরবারীগণ বিবাদী রহিম গং দের কবল থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনদের কে উদ্ধার করে নিকটস্থ ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠায়। বিবাদীগণ বাদীপক্ষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা বাদীপক্ষকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। উক্ত ঘটনা নিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয় । এ ব্যাপারে জানতে বিবাদীপক্ষের লোকজনদেরকে একাধিক বার ফোন করলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুয়েল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে,তিনি বলেন এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।