পাবনায় পূর্ব শত্রুতায় হামলার স্বীকার সুজন
মোঃ ছাবেদুল সরকার-পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধূলাউড়ি ইউনিয়নের রুপসী এলাকার মুক্তার হোসেনের বড় পুত্র ব্যবসায়ী সুজনকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা করে ঐ এলাকার কিছু নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনী। থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ইং ১৩ই নভেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটার সময় সুজন হোসেন (২৮) সে রুপসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে বসেছিল।ঐ দিনই দুপুর অনুমান ১২ঃ৩৫ ঘটিকার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে চাপাতি,লোহার রড নিয়ে রুমের ভিতর ঢুকে সুজন এর উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে।হামলার স্বীকার হয়ে মাথা ফেটে যায় এতে বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে চাপাতি দিয়ে এলো পাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে এতে হাফিজ নামের একজন ঠেকাতে গেলে তাকেও আঙ্গুলের উপরে কোপ দেয় এতে সে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।সাঁথিয়া উপিজেলায় সন্ত্রাসের আখড়ায় একটা সময় পরিনত ছিলো সরকার পতনের পর থেকেই আবারো এই সকল সন্ত্রাসীরা সক্রিয়ভাবে চলাচল শুরু করেছে এবং মানুষকে মেরে সন্ত্রাসীদের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে,এতে তারা আবারো পূর্বের মত রাজত্ব কায়েম করতে পারে এমন মনোভাব নিয়েই সক্রিয় হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে যানা যায়,এই সব সন্ত্রাসীদের কারণে বর্তমানে চলাচল করা খুবই কঠিন হয়ে পরেছে।বিগতদিনে এই সকল সন্ত্রাসীরা চলাচল করা দেখা না গেলেও স্বৈরাচার সরকার পতনের পর থেকেই তারা নানান জায়গাতে নানা ধরনের রুপ নিচ্ছে।এতে আমরা সাধারণ জনগন হুমকির মুখে পরে যাচ্ছি।সন্ধ্যার পর বাজারঘাটে চলাচল করা খুবই কঠিন অবস্থা হয়ে যাচ্ছে এদের নির্মূল করা না গেলে সাধারণ জনগন এর উপরে বড় ধরনের ক্ষতির প্রভাব পরবে।আজকে সুজনকে কুপিয়েছে দুইপর আমাদের উপরে কোপ ঝাড়বে এতে আমরা ঐ সকল সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে যাবো এবং এক সময়ে বড় ধরনের চাঁদা দিয়ে চলাচল করতে হবে আর চাঁদা না দিলে হতে হবে তাদের বলির পাঠা। নিরিহ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ফেলে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টায় বাউশগাড়ী এলাকার মৃত-কোরেশ এর ছেলে আরজান আলী (৪৫)আরজান আলীর ছেলে হৃদয় (২০) খলিলের ছেলে খবির (৩৯),মৃত-সোবাহান মুন্সর ছেলে নূরুল হক (৫৫),আলাউদ্দিনের ছেলে কাউসার (৩৫)দুরুলের ছেলে জাকিরুল(৩৫) এদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্য কল করলে তাদের সাথে কোন প্রকার কথা বলা সম্ভব হয় না।ঐ এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে বর্তমান সময়ে বসবাস করছে। আইন কে সম্মান করে বিচারের আশায় দ্রুত সাঁথিয়া থানায় একটা অভিযোগ দেয়।এতে তাদের দাবি আমার ছেলের উপরে যে অতর্কিত হামলা করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানাই এবং এমন কোন ব্যক্তি যেন এই সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কবলে কেউই না পরে এমন কথা জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।