নরসিংদী জেলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী সংগীত একাডেমীর বাৎসরিক পরিক্ষার প্রস্তুতি চলছে
তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ- নরসিংদী জেলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী সংগীত একাডেমীর বাৎসরিক পরিক্ষার প্রস্তুতি চলছে। প্রতিবেদকের সাক্ষাৎকারে
বৈশাখী সংগীত একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বার্ষিক পরিক্ষার কার্যক্রম শেষ হবে ২০২৪ইং। বৈশাখী সংগীত একাডেমীর বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলে যানানো হবে সবাইকে। বৈশাখী সংগীত একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রশিক্ষকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ-মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার (আসাদ)২২শে মে ১৯৭৯সালে নরসিংদী কাউরিয়া পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান নরসিংদীর চিনিশপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের টাওয়াদী গ্ৰামে তার নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। ঐ বাড়িতেই বৈশাখী একাডেমীর স্থায়ী কার্যালয় নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনির আব্বা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার,ব্যক্তিজীবনে সংগীত সংস্কৃতি প্রেমিক এবং তার মায়ের ও সংগীত সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে প্রবল আগ্রহ। উনার দাদা,পীর নঈম উদ্দিন সরকার ও ছিলেন একজন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অসংখ্য গানের রচয়িতা । মারিফতের দার্শনিক শাস্ত্রে ছিলেন সুফি সাধক। আছে অনেক ভক্ত ও শীষ্য। তিনি ছিলেন দোতলারা,বেহালা, সারিন্দা,হারমোনিয়াম,ঢোল,মন্দিরা,বাঁশি ও তৎকালীন বাধ্য যন্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। সে কারণেই আসাদুজ্জামান সংস্কৃতি পলিমন্ডলে বেড়ে উঠেছিলেন। দাদার কোলে বসেই হারমোনিয়ামে হাতে খড়ি। তিনির বাবাও ছিলেন সংগীত অনুরাগী ও সংগীত প্রেমিক আসাদুজ্জামান, সাটিরপাড়া কালী কুমার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে,এসএসসি ও নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে,বি এ পাশ করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ওস্তাদ শ্রদ্ধেয় টিপু সুলতান ও মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে থেকে গানের তালিম নিয়েছেন। ভারতের দুর্জন ব্যানার্জি,ওস্তাদ মরহুম মফিজুল ইসলাম,ওস্তাদ আক্তার সাদবাণী,ওস্তাদ জাকির হোসেন, ওস্তাদ সুদিম দাশ। পরবর্তীতে ঢাকার নজরুল একাডেমি তে নজরুল সংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে প্রথম বিভাগের প্রথম স্থান উত্তীর্ণ হইছেন। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে খিলখিল কাজী,রথীন্দ্রনাথ রায়,ইয়াসমিন মুস্তারী,সুবীর নন্দী,মিল্টন খন্দকার,ফেরদৌস আরা,রফিকুল আলম, ফরিদা পারভীন,সহ গুণী শিল্পীদের সহচার্য লাভ করেছেন । নরসিংদীতে জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ বেতারের,ও বিটিভির একমাত্র উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী হিসেবে আসাদু জ্জামান সুখ্যাতি লাভ করেন। তাছাড়াও নজরুল গীতি, আধুনিক গান,পল্লীগীতি রবীন্দ্র সংগীত,শিল্পী সুরকার ,গীতিকার,আরো সাতটি বিষয়ে তিনি তালিকাভুক্ত। আসাদুজ্জামান,কণ্ঠশিল্পী,জাতীয় শিশুশিল্পী,পুরস্কার, প্রতিযোগিতায়,মৌসুমী,পুরস্কার প্রতিযোগিতা জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিযোগিতায়। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বহুবার প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৭ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সকল বিষয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তার সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃত সনদ। জাতীয়ভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বহুবার শ্রেষ্ঠতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী,গীতিকার ও সুরকার ।
আসাদুজ্জামান বৈশাখী সংগীত একাডেমী থেকে নরসিংদী জেলায় সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে,অনগ্রসর সংগীতকে সংস্কৃতিকে,শুদ্ধ,সংগীত,চর্চা কেন্দ্র,বৈশাখী সংগীত একাডেমী,স্থাপিত করেন। ২০০৫ ইং সালে,সেই লক্ষ্যেই জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক গণদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন,আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ শিশু একাডেমী নরসিংদী জেলা শাখার সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষক। তিনি সংগীত বিষয়ে গবেষণা করেন। এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংগীত বিষয়ে নিয়মিত লিখেন । তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শুদ্ধ সংগীত চর্চা করে যেতে চান তার আদর্শ দাদা ও বাবা মা তিনি সবার দোয়া ও আশীর্বাদ প্রত্যাশা করেন।