রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ
স্টাফ রিপোর্টার :- দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ:=!!
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত কুখ্যাত রাজাকার এটিএম আজহারুল ইসলামকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক খালাস প্রদানকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র, ইতিহাস, বিচারব্যবস্থা এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর সরাসরি আঘাতের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এই প্রহসনের রায় একটি অবৈধ, অসাংবিধানিক ও দখলদার সরকারের নির্দেশেই ঘোষিত হয়েছে, যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে আজ বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন এক ভয়াবহ দুঃসময়ে ঠেলে দিয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার আজহার জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের (বর্তমানে ইসলামী ছাত্রশিবির) বৃহত্তর রংপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিল। সে একইসঙ্গে আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার কমান্ডার হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারকার্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাকে ছয়টি সুস্পষ্ট অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে, যা ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগেও বহাল থাকে।
কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে পদদলিত করে মব-সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী স্বঘোষিত তথাকথিত প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও বিচারব্যবস্থাকে কব্জা করে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে ধ্বংসের পথেই এগিয়ে চলেছে।
ইউনূস ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে বাংলাদেশকে “রিসেট” করার ঘোষণা দিয়েছে, যার প্রকৃত অর্থ—মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে পুনর্বাসন ও পূর্ব পাকিস্তানের ভূত ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠামো বেআইনিভাবে পরিবর্তন, প্রসিকিউশনে রাজাকারপন্থী আইনজীবীদের বসানো এবং বিচারপতিদের মবস্টার ইউনূসের আজ্ঞাবহে পরিণত করেছে।
২৫ মে ২০২৫ তারিখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত হোসেনের সঙ্গে অবৈধ প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিয়ম ও রীতি-নীতি তোয়াক্কা না করে অভূতপূর্ব বৈঠকই প্রমাণ করে—এই রায়ের নির্দেশ এসেছে সরাসরি দখলদার সরকারের ‘যমুনা’ বাসভবন থেকে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—এই রায় শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান করেনি, বরং এটি একাত্তরের শহীদদের আত্মত্যাগের বিরুদ্ধেও সরাসরি ষড়যন্ত্র।
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আহ্বান জানায়—চূড়ান্ত দায়মুক্তি ও বিচারহীনতার এই বিপজ্জনক দৃষ্টান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গনতান্ত্রিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।
আমরা দখলদার ইউনূস সরকারের রিসেট-বাটনের নামে রাজাকার পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবই। শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে আজই ফ্যাসিস্ট দখলদার ইউনূসের মিথ্যা শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।