শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে ! ফটিকছড়ি জনকল্যাণ পরিষদের পুনর্গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটি প্রথম সভা

রাউজানে গোলাগুলি-সংঘর্ষ বন্ধের দাবিতে নারীদের অভিনব সংবাদ সম্মেলন

রাউজানে গোলাগুলি-সংঘর্ষ বন্ধের দাবিতে নারীদের অভিনব সংবাদ সম্মেলন

স ম জিয়াউর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার,সমগ্র বাংলাদেশ:
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের হানাহানি,গোলা গুলি বন্ধের দাবিতে এক অভিনব সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামের নারীরা। গতকাল ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের গুহরক্ষিত পাড়া দয়াময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কয়েকশ নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সংঘাত,সংঘর্ষ,গোলাগুলি,হানাহানি বন্ধের জোরালো দাবি জানান। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিরিন বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে দেন শাহনাজ আকতার,মিনু আকতার,শাহিন আকতার,সকিনা বেগম প্রমুখ। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রীমা আক্তার, ছকিনা বেগম,নুসরাত জাহান,সখি আক্তার,মোহাম্মদ ফরহাদ,শামসুল আলম,মোহাম্মদ আবছার,মোহাম্মদ আজিজসহ অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়,১৪ নভেম্বর একদল মুখোশ পরা অস্ত্রধারীর এলো পাতাড়ি গুলিতে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ সাগর ও একই ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারভেজ গুলিবিদ্ধ হন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,আমরা শান্তি চাই। বর্তমানে এই এলাকায় এখন সড়ক দিয়ে মানুষ হেঁটে বাড়ি আসতে পারেন না। গাড়িতে এলেও নামিয়ে হামলা করে। নারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এসবের কারণে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ছেলেমেয়েদের জন্যও দুশ্চিন্তা হয়,কখন কী ঘটে সড়কে, গ্রামে,বাজারে। জানা গেছে,চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী দেড় দশকের বেশি সময় ধরে এলাকায় আসতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এলাকায় ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে এলাকায় ফিরেই হামলা,সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়েছেন বিএনপির দুটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা। রাউজান থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বিএনপির এসব হানাহানির ঘটনায় ভুক্ত ভোগীদের অনেকেই মামলা করেননি এখনো। গত রোববার পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১০টি। সর্বশেষ মামলাটি হয়েছে ১৪ নভেম্বর রাতে নোয়াপাড়ার নিরামিষপাড়া গ্রামে অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায়। ২০-২৫ জন মুখোশধারী অস্ত্র নিয়ে এদিন হামলা চালায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page