বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

রাউজানে গোলাগুলি-সংঘর্ষ বন্ধের দাবিতে নারীদের অভিনব সংবাদ সম্মেলন

রাউজানে গোলাগুলি-সংঘর্ষ বন্ধের দাবিতে নারীদের অভিনব সংবাদ সম্মেলন

স ম জিয়াউর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার,সমগ্র বাংলাদেশ:
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের হানাহানি,গোলা গুলি বন্ধের দাবিতে এক অভিনব সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামের নারীরা। গতকাল ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের গুহরক্ষিত পাড়া দয়াময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কয়েকশ নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সংঘাত,সংঘর্ষ,গোলাগুলি,হানাহানি বন্ধের জোরালো দাবি জানান। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিরিন বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে দেন শাহনাজ আকতার,মিনু আকতার,শাহিন আকতার,সকিনা বেগম প্রমুখ। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রীমা আক্তার, ছকিনা বেগম,নুসরাত জাহান,সখি আক্তার,মোহাম্মদ ফরহাদ,শামসুল আলম,মোহাম্মদ আবছার,মোহাম্মদ আজিজসহ অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়,১৪ নভেম্বর একদল মুখোশ পরা অস্ত্রধারীর এলো পাতাড়ি গুলিতে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ সাগর ও একই ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারভেজ গুলিবিদ্ধ হন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,আমরা শান্তি চাই। বর্তমানে এই এলাকায় এখন সড়ক দিয়ে মানুষ হেঁটে বাড়ি আসতে পারেন না। গাড়িতে এলেও নামিয়ে হামলা করে। নারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এসবের কারণে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ছেলেমেয়েদের জন্যও দুশ্চিন্তা হয়,কখন কী ঘটে সড়কে, গ্রামে,বাজারে। জানা গেছে,চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী দেড় দশকের বেশি সময় ধরে এলাকায় আসতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এলাকায় ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে এলাকায় ফিরেই হামলা,সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়েছেন বিএনপির দুটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা। রাউজান থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বিএনপির এসব হানাহানির ঘটনায় ভুক্ত ভোগীদের অনেকেই মামলা করেননি এখনো। গত রোববার পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১০টি। সর্বশেষ মামলাটি হয়েছে ১৪ নভেম্বর রাতে নোয়াপাড়ার নিরামিষপাড়া গ্রামে অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায়। ২০-২৫ জন মুখোশধারী অস্ত্র নিয়ে এদিন হামলা চালায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page