বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!!

নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!!

সাংবাদিক মো: আবু ছালেহ (বিপ্লব)//
ষ্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)

নয়াদিল্লিতে কিডনি বেচাকেনা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ার রাসেল আহমেদ ঢাকায় বাড়ি-গাড়ির মালিক বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। তবে পরিবারের দাবি, তাঁর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

৩০ বছর বয়সী রাসেলের জন্ম ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। প্রায় ৮ বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে পরিবারের দাবি। 

রাসেলের ছোটবেলার সহপাঠী স্বপন জানান, তারা একত্রে ২০১৪ সালে ধরমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাসেল কিছুদিন ঢাকায় পড়াশোনাও করেছেন। প্রায় ৮ বছর আগে তিনি ভারতে  চলে যান। তারা ফেসবুক ও গণমাধ্যমে তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি দেখেছেন। গত ঈদুল ফিতরের আগে তিনি বাড়িতে এসে কিছুদিন ছিলেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক আত্মীয় বলেন, ‘শুনেছি দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্ত অ্যাপোলো হাসপাতালে রাসেল দোভাষী হিসেবে কাজ করেন। তিনি ঢাকায় বিয়ে করেছেন, পরিবার ওখানেই থাকেন। ঢাকায় তাঁর ফ্ল্যাট বাড়ি ও গাড়ি আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসেন। আর তাঁর মেজো ভাই সোহেল রানাও তাঁর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ভারতে গিয়ে দেখা করেন। রাসেল ধরা পড়ার পর তিনি বাংলাদেশে চলে এসেছেন।’ 

ওই আত্মীয় জানান, কুষ্টিয়ার অনেক লোক ভারতে গিয়ে তাঁর শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতেন। দেশে এসে তারা রাসেলের ব্যাপক প্রশংসা করতেন।

তবে  রাসেলের কাছে বারবার যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন সোহেল রানা।  বলেন, ‘আমি অসুস্থতার জন্য ভারতে যেতাম। বর্তমানে আমি রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে কর্মরত।’ 

রাসেলের মা আলেকা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন ভারতে থাকে। শুনেছি সেখানকার এক হাসপাতালে চাকরি করে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ঈদুল ফিতরের আগে তাঁর বাড়িতে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নিরুত্তর ছিলেন। 

ঢাকায় পূবালী ব্যাংকে কর্মরত রাসেলের বড় ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো আমরাও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি তার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা। আমরা চাই অপরাধ করলে তার শাস্তি হোক।’  

সম্প্রতি ভারতে কিডনি পাচার চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গ্রেপ্তারকালে রাসেলের কক্ষ থেকে কিডনিদাতা ও গ্রহীতাদের  দুটি ডায়েরি ও ৯টি পাসপোর্ট জব্দ করেছে পুলিশ।

ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরেই  রাসেল ভারতে থাকেন। এলাকায় এলে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করেন।

বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক রোগী ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করান। ভারতে গ্রেপ্তারকৃতরা নিজ নিজ এলাকায় বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়ে কিডনিদাতাদের প্রলুব্ধ করতেন। দাতারা একেকটি কিডনির বিপরীতে ৫-৬  লাখ রুপি পেতেন। বিপরীতে চক্রটি একেকটি কিডনির জন্য রোগীদের কাছ থেকে ২৫-৩০ লাখ রুপি আদায় করত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page