শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে ! ফটিকছড়ি জনকল্যাণ পরিষদের পুনর্গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটি প্রথম সভা

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

সৈয়দ নুর আলম বাদশা
সম্পাদকঃ
দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ সংবাদ।

ভারতের বিদ্যুৎ আমদানি নীতির পরিবর্তনের কারণে সামিট গ্রুপ বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আজিজ খান।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক সপ্তাহের মাথায় ভারত সরকার নতুন এই নীতিমালা প্রণয়ন করে। নতুন নীতিমালা অনুসারে, যেসব প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে বাইরের দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করছিল, তারা এখন স্থানীয়ভাবেই তাদের বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। এতে করে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারবে না আদানিসহ অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই আইনের কারণে ভারতের একমাত্র শতভাগ রপ্তানিমুখী বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আদানি গ্রুপের মালিকানাধীন গোড্ডা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশটির জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্যই তৈরি করা হয়েছিল।

দেশের বাইরে থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করতে চায় সামিট। আজিজ খান বলেন, ‘নীতিমালার পরিবর্তনের পর আমাদের ভারতীয় অংশীদারেরা হয়তো ভারতেই বিক্রি করতে বেশি আগ্রহী হবেন। আমাদের কোম্পানি বাংলাদেশে সঞ্চালন লাইন তৈরিতে বিনিয়োগ করবে এবং তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।’

রয়টারর্সে তথ্য অনুযায়ী, সামিট গ্রুপ বাংলাদেশে এক ডজনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিচালনা করছে। কোম্পানিটি গত বছর টাটা পাওয়ার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডসহ ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে ১ হাজার মেগাওয়াট পুনর্নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নির্মাণ এবং উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

প্রকল্পটির বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে টাটা পাওয়ারের পক্ষ থেকে সামিটের পরিকল্পনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

বাংলাদেশে প্রায় ৯৯ শতাংশ বিদ্যুৎই আসে জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে। তাই কার্বন নিঃসরাণ কমাতে এই খাতের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানো বাংলাদেশের জন্য জরুরি। কিন্তু জমির দুষ্প্রাপ্যতার কারণে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনও সহজ নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page