বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

ওনার নাম ইব্রাহিম খলিল। বোরোচর চরকাশিমপুর আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি।

ওনার নাম ইব্রাহিম খলিল। বোরোচর চরকাশিমপুর আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি।

সৈয়দ নুর আলম বাদশা
সম্পদক ও প্রকাশকঃ- দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ সংবাদ।

বর্তমানে বাংলাদেশে যে শিক্ষকদের উপর হামলা চালাচ্ছে শিক্ষার্থীরা এতে করে বাংলাদেশের চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এ বিষয়টি নিয়ে বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে খোঁজখবর নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেল।

আন্তঃর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা কারী সংস্থার বিশেষ প্রতিবেদন।ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায়। তিনি কোনও রাজনীতির সাথে জড়িত নন। সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। খুবই সহজসরল এই মানুষটিকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। বাধ্য করা হয়েছে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে৷ দুর্ভাগ্যজনক হলো, এই কাজ করেছে তারই শিক্ষার্থীরা।

চাঁদপুরের-ই মতলব দক্ষিণের মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে একই আচরণ করা হয়েছে। তিনিও পদত্যাগ করেছেন। তিনি বয়স্ক মানুষ।

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর হাইস্কুলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলো প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে। একজনকে জিঙ্গেস করলাম কেন পদত্যাগ চাও? জানাল, সারাদেশে পদত্যাগ চায় সেজন্য আমরাও পদত্যাগ চাই। বললাম, শিক্ষক কেমন? বলে খুব ভালো। তো ওনাকে পদত্যাগ করালে লাভ কি? পরের জন্য ভালো হবে? তার কোনও উত্তর নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি বা ট্রেজারার নিয়োগ হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। সেজন্য সরকার পরিবর্তন হলে তাঁরা পরিবর্তন হবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
কিন্তু গ্রামের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করাতে হবে কেন?

খোঁজ নিয়ে জেনেছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনার ইন্ধন দিচ্ছেন সেই স্কুলের-ই কোনও এক শিক্ষক। যিনি প্রধান শিক্ষক হতে চান। অথবা রাজনৈতিক কোনও শক্তি।

যারা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ফায়দা লুটতে চান তাই বর্তমানে চলমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আমরা কি তাকিয়ে তাকিয়ে শিক্ষকদের এই অপমানিত হওয়া দেখতে থাকব? আমি একজন মানবতাবাদী আন্তঃর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা কারী সংস্থা এর কর্মী হিসাবে আমাদের কি কিছুই করার নেই? বর্তমানে বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিশ্বসেরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page