শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

কেন্দুয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট

“কেন্দুয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট, নির্দোষ এবং মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধাকে আসামি করে মামলার অভিযোগ”

(নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি)

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাজুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিপক্ষের ৬ টি বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের সহিলাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অপরপক্ষ তাজুল ইসলাম ও তার লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।

এবিষয়ে হত্যা মামলার আসামি মোঃ আব্দুল্লাহ্ জানান, গত ৫ আগষ্টের পর থেকে আমি ঢাকায় আছি। মারামারি সময়ও আমি বাড়িতে ছিলামনা। কিন্তু আমি আমার ফুফাতো ভাই হওয়ায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে ছোটন,সেলিম, মানিক,বাবুল,মান্নান মিয়া গংরা আমার বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট চালায়।আমার নারী উদ্যোক্তা স্তীর শফিং সেন্টার,কয়েকটি হাফবিল্ডিং ঘর ও মালামাল মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ মা ভাংচুর করা বাড়ি দেখতে গেলে ওনাকে মারধর করে পুলিশে দেয়া হয় এবং মামলার আসামি করা হয়।

এবিষয়ে নিহতের মেয়ে ও হত্যামামলার বাদী হেনা আক্তার বলেন, আমার পরিবারের সবাই হাসপাতালে ছিলাম। কারা এসব করেছে তা আমরা বলতে পারবনা।

স্হানীয় মানিক মিয়া বলেন, আমি তখন বাজারে ছিলাম। এসে শুনেছি চেংজানা,পেরী,সান্দিকোনাসহ আশপাশের লোকজন এসে ভাংচুর করেছে।

বাড়িঘর ভাংচুরের বিষয়ে পাশ্ববর্তী কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্হানীয় মেম্বার বলেন, আমাদের এখানে হত্যাকাণ্ড হলেই এসব ঘটনা ঘটে। আমরা গিয়ে দেখি ভাংচুরকারীরা চলে গেছে। পরে আবার এসে ভাংচুর করেছে।

এবিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তাজুল ইসলাম হত্যার অভিযোগে তার মেয়ে হেনা আক্তার বাদী হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ১২ জনের নামোউল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু আসামিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সহিলাটি গ্রামের তাজুল ইসলামের সাথে চেংজানা গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ এবং মামলা চলছিল। এর জেরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলাম জমিতে কাজ করার সময় লেহাজ উদ্দিন তার লোকজনসহ তাকে মারধর করেন। এতে আহত অবস্থায় তাজুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ১৭ সেপ্টেম্বর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা জান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page