সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নবগঠিত সেনবাগ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটির বিজয় মিছিল ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে !

নেত্রকোণায় ফের বন্যার শংকা,নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই।

নেত্রকোণায় ফের বন্যার শংকা,নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই।

মাহমুদুল হাসান (নেত্রকোণা সদর প্রতিনিধি) :

নেত্রকোণায় টানা বৃষ্টিতে জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফের বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলার উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। কংসের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার শংকা জাগিয়েছে। এতে করে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্জল প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এলাকাবাসি বলছেন, এরই মাঝে কোন কোন এলাকায় নদীর পানি উপচে আর পাহাড়ি ঢলে গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নেত্রকোণার জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি ও দুর্গাপুরে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টির ফলে জেলার সোমেশ্বরী, উব্ধাখালি, কংস ও ধনু নদের পানি বেড়ে চলেছে।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার বেলা ৩টা নাগাদ উব্ধাখালি নদীর পানি বেড়ে কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক শূণ্য ৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানি বেড়ে জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। এখনও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে আগামী ২৪ ঘন্টায় বিপৎসীমা ছাড়িয়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ঢুকে পড়তে পারে।এছাড়াও সোমেশ্বরীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি বেড়ে খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক শূণ্য ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে।

কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাঁচগড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহেরা খাতুন। তিনি বলেন, আমরার এইহানে কাইল থেইক্যা মেলা বৃষ্টি অইতাছে। হারা রাইতই বৃষ্টি অইছে। অহনও অইতাছে। উব্ধাখালি নদীর পানি আইজ (শুক্রবার) দুপুরের দিকে আমরা রএইহান দিয়োপাড় ঢুবাইয়া ফালাইছে। পানি আয়ন আরম্ভ অইয়া গেছে। বাড়ির কাছাকাছি আইয়া পড়ছে। কোনসময় যে বাড়ির ভিতরে ঢুইক্যা পড়ে ঠিকঠিহানা নাই।

একই উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কনুড়া গ্রামের বাসিন্দা মনতোষ বিশ্বশর্মা বলেন, বৃষ্টি আর নদীর পানি এক তালে বাইড়া চলছে। মনে অইতাছে আইজ রাইত আমরার এলঅকায় পাপনি ঢুইক্যা যেইতে পারে। এর আগে দুই দফায় বন্যা আইছে। যেভাবে বৃষ্টি অইতাছে এর লাইগ্যা ঘর থেইক্যা বাইর অয়ন যাইতাছে না। দুর্ভোগের মধ্যে আছি।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে সীমান্ত এলাকা গারো পাহাড়ি অঞ্চল দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের খুজিগড়া গ্রামের ভিতর দিয়ে ছোট পাহাড়ি নদী ডাব্রাস ও নেত্রী বয়ে গেছে। উজানের ঢলের পানি আর বৃষ্টিতে গতকাল রাতে নদী দুইটি উপচে পানি খুজিগড়া ও বগাউড়া গ্রামে ঢুকে পড়ে। এতে করে সেখানের অনেক বাড়িতেও পানি ঢুকেছে।

খুজিগড়া গ্রামের সমাজকর্মী অন্তর হাজং বলেন, গতকাল রাতে পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির পানিতে আমাদের গ্রামের প্রায় ২৫টি বাড়িতে পানি ঢুকেছে। জহর লাল হাজংয়ের ২ টি মাটির ঘর। দুইটিই ভেঙ্গে গেছে। বন্যা এখন আমরার বলতে গেলে লেগেই থাকে। কারণ নদীগুলো বালিতে ভরে গেছে। পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কমে গেছে। এরই মাঝে এলঅকার ৩২ শতাংশ ফসলি জমি বালিতে ঢাকা পড়ে গেছে।

এর আগে গত জুন-জুলাই মাসে দুই দফায় নেত্রকোণার ৭টি উপজেলা বন্যার কবলে পড়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page