সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ক্যাম্পেইন উদ্বোধনে ফারুক-ই আজম বীর প্রতীক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বেগম জিয়ার কারা মুক্তি দিবস ও ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা সভা নবগঠিত সেনবাগ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটির বিজয় মিছিল ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিবাদে মানববন্ধন।

কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিবাদে মানববন্ধন।

মোহাম্মদ রুস্তম আলী
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:-

(০৪ অক্টোবর) রোজ, শুক্রবার, জুম্মা নামাজের পরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জে কটিয়াদী উপজেলা চান্দপুর গালিম খার বাগ খোকন সরকার সহ সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এবং দালালদের হাতে আর নয় জিম্মি,রাজনীতিক দালালদের হাত থেকে, ইসলামিক প্রতিষ্টান ও সাধারন জনগনের অর্থ সম্পদ মুক্তির দাবিতে,এবং অন্যায়ভাবে জমি দখলের পর মিথ্যা মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন করে গাউছুল আজম / আয়মন্নেছা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী।
চান্দপুর গালিম খার বাগ সৈয়দ মিরাণ শাহ তাতারী এফতেদারী মাদ্রাসা ওয়াকফ সম্পত্তি ক্বারী কাজী মোঃ খোকন সরকার নিজের দাবি করে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। সে সময় বক্তব্য রাখেন গাউছুল আজম/আয়মন্নেছা জামে মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা,মোঃ রতন মিয়া, অত্র মসজিদে সভাপতি, হাজী মোঃ কলিমউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মোঃনাজিমউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুস্তম আলী সহ বক্তব্য রাখেন এলাকাবাসী, সে সময় বক্তারা বলেন, চান্দপুর গালিম খার বাগ সৈয়দ মিরাণ শাহ তাতারী এফতেদারী মাদ্রাসা ওয়াকফ সম্পত্তি ক্বারী কাজী মোঃ খোকন সরকার নিজের দাবি করে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন।
সৈয়দ মিরান শাহ তাতারী এফতেদায়ী মাদ্রাসা করার জন্য তিন জন সম্পত্তি ওয়াকফ দেন, তাদের মধ্যে একজন ১।মরহুম সুলতান উদ্দিন সাহেব ৪০ শতাংশ ওয়াকফ দেয়, এবং খোকন সরকার জোর দখল রাখছে আরো ২০ শতাংশ, মোট ৬০ শতাংশ ।২। মরহুম আবু বক্কর সিদ্দিক ১২ শতাংশ সম্পত্তি ওয়াকফ করে।
এবং মরহুম আবু বক্কর সিদ্দিক সাহেবের বড় ছেলে মরহুম নুরুল ইসলাম তুতু মিয়া ৩ শতাংশ ওয়াকফ দেয়। মরহুম তুতু মিয়া সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কিনেন। মরহুম তুতু মিয়া ৩ শতাংশ জমি মাদ্রাসায় ওয়াকফ দেয়। তার কিছু দিন পর খোকন সরকার ওয়াকফ জমি নিজের দাবী করে, পরে তুতু মিয়া বাংলা ১৪০৬ সালের ১৫ ই চৈত্র তারিখে চান্দপুর গালিম খার বাগ সৈয়দ মীরাণ শাহ তাতারী এফতেদায়ী মাদ্রাসা ওয়াকফ জমি জমা নিয়া বিভিন্ন গ্রামের ইউনিয়নের ও উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে নিয়ে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালীশে সভাপতিত্ব করেন তালেব হুসেন(ডুগু মিয়া)
উল্লেখিত সালিশে মোহাম্মদ তুতু মিয়া গং,ও মোঃ খোকন সরকারের সাথে ওয়াকফ সম্পত্তির নিয়া শালীশে উভয় পক্ষের জবানবন্দী নিয়া নিম্নের লেখা মতে মিমাংশা করিয়া দেওয়া হয়। (১) অদ্য তারিখে পৃর্বে ওয়াকফ সম্পত্তির যা আয় উ্যপাদন হইয়াছে মাদ্রাসা খাতে খরচ বাদে ওয়াকফ দেওয়া জমি হারা হারি মতে প্রত্যেককে খোকন সরকার টাকা দিয়ে দিবে। (২) মাদ্রাসা সরকারি ভাবে অনুমোদন না পাওয়া আগ পর্যন্ত, যাহার তাহার ওয়াকফ দেওয়া সম্পত্তির আয় উ্যপাদন পূর্বের মালিক গন ভোগ বিনিয়োগ করিবে বলে উল্লেখ থাকে। (৩) মাদ্রাসা সরকারি ভাবে অনুমোদন পাইলে ওয়াকফ দেওয়া সম্পত্তির আয় মাদ্রাসা তাহবীলে জমা থাকবে।
(৪)বর্তমান হইতে ভবিষ্যতে মাদ্রাসা যাবতীয় কাজ উন্নয়নের সাথে করিলে ওয়াকফ দেওয়া সম্পত্তি মালিক জনাব সুলতান মিয়া ও তুতু মিয়া কে নিয়া কাজ করিতে হইবে।উপরে বিচারের ঘোষণায় শর্ত সমূহ বিষয়াদী প্রথম পক্ষ তুতু মিয়া গং, ও ২য় পক্ষ মোঃ খোকন সরকার যথাযথ মেনে চলার জন্যে সর্ব সম্মতি ক্রমে বিচারক মন্ডলীগণ রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু খোকন সরকার উল্লেখিত শালিশের অঙ্গীকার না মেনে এবং রায় না মেনে তাহার মন গড়া ওয়াকফ সম্পত্তির মালিক গনকে না নিয়ে খোকন সরকার ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ৩৭ বছর ধরে ওয়াকফ সম্পত্তি নিজের দাবি করে ৫০ লক্ষ টাকার অধিক ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন,নামে বে নামে কালেকশন, শিল্পপতি,দানবী,প্রবাসী,এলাকার প্রভাব শালিদের কাছ থেকে প্রতি নিয়ত মুটা অংকের অর্থ সংগ্রহ করে।বাদ পরেনি এমপি,উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান,
উ পি সদস্যরা,সরকারি বাজেট, টিয়ার, সকল অনুদান মঞ্জুর করেন।
সকল জায়গা খোকন সরকার দখল করে রেখেছেন, এর আয় পুকুর পতন, মাদ্রাসার মাঠে ফসল আবাদ এবং মাঠ লিজ দিয়ে মুটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করছেন। গ্রাম উন্নয়ন মিরাণীয়া যুব সংঘ সমিতির নগত অর্থ সহ সমিতির টাকায় খরিদ করা জমি উনার দখলে। মসজিদের জন্য জাইগা ওয়াকফা দেন মরহুম আউয়াল, মোঃ কলম উদ্দিন, এবং তাদের দোকান সরিয়ে মসজিদ করার জন্যে জায়গা খালী করে দেন, কিন্তু এই জাইগা উনার বউয়ের নামে বলে দাবি করেন,
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন মসজিদ -মাদ্রাসা ও জনসাধারণের অর্থ সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে শহিদুল হক খোকন সরকার,সভল মিয়া,ইসমাইল মিয়া,আলী আহাম্মদ ও চান্দপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আতাউল হক তুতুকে অবিলম্বে  আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page