নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া গ্রামে সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী টিটু খানের প্রায় পৌনে ১৬ লক্ষ টাকা চুরি করে পালিয়েছে, আল আমিন নামে এক দোকান কর্মচারী
নিজস্ব প্রতিবেদন,দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ।
নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের সন্তান সৌদি প্রবাসী টিটু খান। সৌদি আরবের আল জাইফ সাকাকায় টিটু খানের কফি শপের দোকান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে একাধিক কর্মচারী।
চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া চৌইয়াল বাড়ীর আল আমিন সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাস করছে। আল আমিন সৌদি আরবে তার কষ্টের কথা একই ইউনিয়নের সৌদি ব্যবসায়ী টিটু খানকে জানায়। টিটু খান তার এলাকার ছেলে কষ্টে আছে একথা বিবেচনা করে, তার কফি শপে গত ৯ সেপ্টেম্বর আল আমিন কে কাজ দেয়। আল আমিন টিটু খানের কফি শপের বিশ্বস্ততার সাথে প্রায় ১ মাস কাজ করে। গত রোববার আল আমিন কফি শপের ক্যাশ বাক্সে রাখা ইনবিলাবের টাকাগুলো সব খুলে পকেটে নেয়। এরপর রাতে বাসায় এসে টিটু খানের জমানো সব টাকা এবং iPhone 15 Pro Max নিয়ে পালিয়ে যায়।
সৌদি আরব থেকে হ্যান্ড ফোনে টিটু খান জাতীয় দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ জানান , আমি দোকান ভাড়া ও পার্টিদের দেওয়ার জন্য টাকা জমিয়েছিলাম। দোকানের সব হিসাব-নিকাশ এলাকার ছেলে হিসেবে আল আমিন দেখাশুনা করত। সে জানত কোথায় কত টাকা আছে। টিটু খান আরো বলেন আল আমিন আমার সর্বমোট ৪৯ হাজার ২০০ রিয়াল নিয়ে পালিয়েছে,যা বাংলাদেশী টাকায় ১৫ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার মত। তিনি বলেন আল-আমিনকে আমি অনেক বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু সে আমার সাথে এভাবে প্রতারণা করে আমার টাকা পয়সা চুরি করে পালিয়ে যাবে, তা আমার কখনো কল্পনায়ও ছিল না।
বর্তমানে টিটু খান কিভাবে পার্টিদের টাকা পরিশোধ করবে এবং দোকান ভাড়া দিবে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। আল আমিন যে কোনো সময় যে কোনোভাবে বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। আল আমিনের বিষয় সৌদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে টিটু খান অবহিত করেছে। গোপনে আল আমিন দেশে আসলে, তাকে কোথাও দেখা গেলে, সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করার জন্য বিশেষ ভাবে দেশবাসী ও গণমাধ্যম কর্মী সহ সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন টিটু খান।