সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ক্যাম্পেইন উদ্বোধনে ফারুক-ই আজম বীর প্রতীক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বেগম জিয়ার কারা মুক্তি দিবস ও ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা সভা নবগঠিত সেনবাগ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটির বিজয় মিছিল ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

“রাজনৈতিক প্রভাব ও অপরাধের রক্ষাকবচ: টিসিবি লুটের অভিযোগে আটক নেতার পক্ষে মানববন্ধন”

“রাজনৈতিক প্রভাব ও অপরাধের রক্ষাকবচ: টিসিবি লুটের অভিযোগে আটক নেতার পক্ষে মানববন্ধন”

রিপোর্টঃ-নেত্রকোনা জেলা,বিশেষ প্রতিনিধিঃ-

বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অপরাধী প্রমাণিত হলেও তার পক্ষে কিছু না কিছু সমর্থন পাওয়া যায়। এ সংস্কৃতির কারণে অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়াগুলো বারবার বাধাগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম ভূঁইয়া যৌথবাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) মালামালসহ আটক হয়েছেন, যা শুধু অপরাধই নয়, জনস্বার্থবিরোধী একটি কাজ।

তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, এক সপ্তাহ না পেরোতেই তার পক্ষে কিছু অনুসারী মানববন্ধন করেছে, যেখানে তারা দাবী করেছেন যে, আবুল হাসেম ভূঁইয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে এবং তার মুক্তি চান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি শুধু টিসিবির মালামাল চুরি নয়, বরং গত ৫ই আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে গরু চুরি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার পর কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি তাকে দল থেকে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে বহিষ্কার করে।

তবুও, এই বহিষ্কৃত নেতার পক্ষে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে, যা রাজনৈতিক প্রভাবেরই একটি নিদর্শন। আরও অবাক করার মতো বিষয় হলো, এই কর্মসূচির ব্যানারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর ছবি দেখা গেছে এটা নিয়ে স্হানীয় নেতারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছেন। একজন বহিষ্কৃত ও মামলার আসামির পক্ষে বিএনপির এক গুরুত্বপূর্ণ নেতার ছবি কীভাবে ব্যবহার হলো, তা একটি প্রশ্নবোধক বিষয়।

এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব ও শক্তির অপব্যবহারকে সামনে নিয়ে আসে। অপরাধীদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং তাদের মুক্তি দাবি করা শুধুমাত্র বিচারব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করে না, এটি সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও নষ্ট করে। জনগণের স্বার্থরক্ষায় আইন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি।

এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার একটি প্রতিফলন, যেখানে অপরাধীকে শাস্তি প্রদানের চেয়ে রাজনৈতিক প্রভাবের ব্যবহার বেশি প্রাধান্য পায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page