প্রাণ ভয়ে এলাকা ও বাড়ি ঘর ছাড়া নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আহাম্মদ হোসেন সোহাগ আতঙ্কে মাঝে পরিবারের সদস্যরা
নোয়াখালী চাটখিল প্রতিনিধিরঃ রিপোর্ট ।
নোয়াখালীর চাটখিলে প্রাণ ভয়ে বাড়ি ঘর ছাড়া আওয়ামীলীগ নেতা আহমেদ হোসেন সোহাগ। তিনি হচ্ছেন চাটখিল উপজেলার ০৫ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড পাল্লা বাজার,ধন্যপুর গ্রামের মরহুম রুস্তম আলীর মাষ্টারের পুত্র। তিনি দীর্ঘ জীবণ দিন ধরে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী তাই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যার কারণে বর্তমানে আওয়ালীগ সরকারের পতনের পর তিনি বিএনপি জামায়াত ও বৈষম বিরোধী ছাত্র আনদোলনের নামে বি এন পি ও জামাত শিবিরের সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়েন এবং তারা আহমেদ হোসেন সোহাগ কে বিভিন্ন ভাবে প্রতিনিহত প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। এতে করে আহমেদ হোসেন সোহাগ প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, এদিকে আহমেদ হোসেন সোহাগ পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন পার করয়েছেন। বিশেষ ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,১৯৮৭ সােল ৫ জুন পড়া লেখার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যান আহমেদ হোসেন সোহাগ। এর পর বিভিন্ন সময় থাইল্যান্ড,হংকং,মাকাও, ইউনাইটেড আরব আমিরাত, ইন্ডিয়া ও পিলিপাইন ভ্রমন করেন। ছাত্র জীবনে আহমেদ হোসেন সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগ এর সাংগঠনিক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৩-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত চৌমুহনী সরকারী এস এ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আহমেদ হোসেন সোহাগ। ১৯৯৭ সাল থেকে দেশে ব্যবসার পাশাপাশ রাজনৈতিক,সামাজিক, কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। ২০০৩-২০০৯ইং ৭ বছর চাটখিল উপজেলা ০৫ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন। আর সেই সময় বিএনপি রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় ছিলো। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার কারণে আহমেদ হোসেন সোহাগ সহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা কর্মীরা ১১টি মামলা-হামলা,জেল জুলুমের শিকার হন। তিনি ২০০৯-২০২২ইং ১৩ বছর চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগ এর জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২-২০২৪ সাল চলমান চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগ এর নতুন কমিটি গঠন হলে আহমেদ হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক (প্রস্তাবিত) হিসাবে দলীয় ও সামাজিক দিক দিয়ে বেশির ভাগ কাজ কর্ম করে আসছেন। ২০০৯-২০১২ সালে ভোটের মধ্যমে তিনি ৩ বছরের জন্য চাটখিল উপজেলার কেন্দ্রীয় সমবয় সমিতি ইউ,সি,সি,এ,লিঃ,( বি,আর,ডি,বি) সমবায়ী সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পূনরায় তিনি ২০১২-২০১৫ আবার ও ভোটের মধ্যেমে ৩ বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে চলমান সংকটে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট তথা কথিত জমায়েত, বিএনপির সমর্থিত কথিত ছাত্র আন্দোলনের নামে জ্বালও পোড়াও,খুন রাহাজানি,চুরি,ডাকাতিসহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটায়। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের ৩ বারের সফল প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গনভবন থেকে সেনাবাহিনী ইন্ডিয়া যেতে বাধ্য করে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর তৃনমুলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা,বানোয়াট মামলা দিয়ে নেতা কর্মিদেরকে জেল জুলুম,খুন,রাহাজানি, শিকার হচ্ছে। প্রতি পক্ষের দলীয় সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা,ভাংচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুপটাট চালাচ্ছে। তারা আওয়ামীলীগ নেতা আহমেদ হোসেনের বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়। এতে তিনি জীবন রক্ষার্তে কোন প্রকার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে আহমেদ হোসেন সোহাগ এর পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।