কুষ্টিয়ায় চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে।
মোহন আলী স্টাফ রিপোর্টার।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার কবুরহাট মন্ডলপাড়ার দাপোটি মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মনোয়ারা চাকরি দেয়ার নাম করে সর্বশান্ত হয়েছে অনেকে। একাধিক মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকরি না দিয়ে তাদের ভয়-ভীতি ও শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে জানা গেছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী স্বেচ্ছাচারিতা সহ হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি ঘর টিউবওয়েল ও চাকরি দেওয়ার নাম করে সাধারন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তা হুমকি ধামকি মারধোর এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলাধীন কবুরহাট এলাকার মোছাঃ চায়না খাতুন বলেন,মনোয়ারা খাতুন চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও আমি তার কাছে আমার চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাকে বলে চাকরি হবে ব্যস্ত হয়ো না। তার কিছুদিন পরে মনোয়ারা খাতুন কে আমি বললাম যদি আমার চাকরি হয় তাহলে চাকরি দাও আর যদি চাকরি না হয় তাহলে আমার টাকা ফেরত দাও এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একই গ্রামের মোছা:রেশমা খাতুন, নামের একজন বলেন,আমাকে সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে মনোয়ারা আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমাকে ঘর দিতে পারিনি টাকা ফেরত চাইতে গেলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ভয় দেখায়। বলে আমার থেকে টাকা ফেরত চাইলে ও আমার বিরুদ্ধে কোথাও কথা বললে তোকে এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। একই গ্রামের আরো একজন মোঃ লালটু ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী মনোয়ারা আমাকে সরকারি স্কুলের পিয়নের চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার থেকে টাকা নিয়েছে। আমাকে দীর্ঘ চার বছর যাবৎ চাকরিও দেয় না,টাকা ফেরত দেয় না,টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কিছুদিন আগে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানাচ্ছি। আরো স্থানীয় অনেক লোকজনের নিকট মনোয়ারা বেগম এবং রাজু আহম্মেদ বাঘার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় যে,মনোয়ারা নিজেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী পরিচায় দেয়। সে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা সাহেবের খুব কাছের লোক বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। তার সাথে সব সময় রাজু আহম্মেদ বাঘাকে নিয়ে মোটর সাইকেলে এলাকায় ঘোরা ফিরা করে থাকে। মনোয়ারা বেগম সুযোগ পেলে গ্রামের নিরিহ লোকজনদের চাকুরী দিবার কথা বলে,সরকারী ঘর পাইয়ে দিবে,বিধবা ভাতার কার্ড পাইয়ে দিবে বলে অনেক লোকজনের নিকট থেকে অনেক টাকা প্রতারনা করে আত্মসাৎ করেছে। স্থানীয় নাজমা বেগম এর নিকট থেকে ৫০,০০০/= টাকা, নান্টু এর নিকট থেকে ৫২,০০০/= টাকা,নিয়েছে বলে তারা সাংবাদিকদের জানাই । এই মনোয়ারা এখন পর্যন্ত এলাকায় দাপটে সাথে নিরীহ লোকজনকে হুমকিধামকি ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এমত অবস্থায় এলাকাবাসী বলেন,এই মনোয়ারার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।