বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

নোয়াখালীতে ভাতিজাকে হত্যার দায়ে চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নোয়াখালীতে ভাতিজাকে হত্যার দায়ে চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতিবেদকঃ- দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ।। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেহেরাজ হোসেন ওরফে জিসান (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে ২জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামিদের দুটি ধারায় ১লক্ষ ২০ ধারায় টাকা করে জরিমানা করা হয়। সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম ওরফে রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে মো.সালমান হোসেন শিবলু (২২) বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন। মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়,হতার শিকার জিসান স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদরাসার মাদরাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের মায়ের অসুস্থতার কথা বলে অপরহরণ করে নিয়ে যায় আসামি রনি ও তার বন্ধু শিবলু। পরে তাকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে। একই দিন সন্ধ্যার পরে তার পরনের জামা কাপড় দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে তার শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে রেখে নিহতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার দুদিন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। আদালত ২২জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন করাদন্ড দেন। রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি ( পিপি ) মামুনুর রশীদ লাভলু মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন,ভিকটিমের পিতা প্রবাসী ছিল। আসামি রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর সম্পর্কের কাকা হয়। মূলত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে রনি তার বন্ধু লাভলু সহ অপহরণের ঘটনা ঘটায়। পরে তারা জিনাসকে হত্যা করে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page