অবৈধ অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক-বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ
রিপোর্টঃ-দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ।। লন্ডন,২৩ অক্টোবর:
অবৈধ অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়,বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারও আগে বাংলা,বাঙালি,স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬ বছরের ইতিহাস জাতির মুক্তির স্বপ্ন,সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন,১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিলো অনন্য। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করত। সারা বাংলাদেশে পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে,যার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেন। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার,শিক্ষার অধিকার,বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা,দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ছাত্রলীগের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন”ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস’সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন,বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ঘরে,ঘরে যে সংগঠনটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তা নিষিদ্ধ করা যায় না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মীর হ্রদয় থেকে ছাত্রলীগের আদর্শকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র,স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তের অংশ। তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,৩০ লক্ষ শহীদের ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়। এই ষড়যন্ত্রকারীরাই অবৈধভাবে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে আছে। যাদের নিজদের বৈধতা নেই,তারা কিভাবে ইতিহাস ঐতিহ্যের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করবে? এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগই প্রজন্মের অনুপ্রেরণা আমাদের শক্তি,আমাদের সাহস। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সোনালি অতীতের মতো সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়বে।
জয় বাংলা..জয় বঙ্গবন্ধু.♥️🇧🇩♥️