পাবনার সাবেক এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স ও তার গুন্ডালীগের অপকর্ম ফাঁস।
সাবেদুল সরকার,পাবনা জেলা প্রতিনিধি।।পাবনার সাবেক এমপি প্রিন্সের উত্থানের একটি ঘটনা! ২০১০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষাচলাকালে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিজয় ভূষন পাল,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল মামুনসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় বিভাগীয় কমিশনার অফিসের ১টি গাড়ি ও জেলা প্রশাসনের ৪টি গাড়িসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাংচুর করা হয়। পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে ফেলে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রশাসনে আওয়ামী লীগের নগ্ন হস্তক্ষেপের ঘটনা দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এই ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসেন গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। তার বিরুদ্ধে ডিসিকে লাঞ্ছিত করারও অভিযোগ উঠে। ডিসি অফিস ঘেরাও, সড়ক অবরোধ,কর্মবিরতিসহ ঘটনায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে প্রশাসনও ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে টানাপোড়ানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম পাবনায় আসেন। তিনি এসে ঘটনার রেশ টানলেও শেষ পর্যন্ত পাবনা ছাড়তে বাধ্য হোন তৎকালীন জেলা প্রশাসক ড. এএফএম মঞ্জুর কাদির ও পুলিশ সুপার জামিল আহমেদ এডিসি,ইউএনও,ওসি সহ প্রশাসনের শীর্ষ প্রায় সব কর্মকর্তা। যাওয়ার আগে এক মতবিনিময় কান্নায় ভেঙে পড়েন জেলা প্রশাসক ড.এ এফ এম মঞ্জুর কাদির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইদুর রহমান ও ম্যাজিষ্ট্রেট ইসরাত জাহান। এমন কিছু ঘটনা নিয়ে আরও বিস্তারিত আসবে ইনশাআল্লাহ।