বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক কে অপস্বারণের দাবীতে মানববন্ধন।

দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক কে অপস্বারণের দাবীতে মানববন্ধন।

মোঃ নুর হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:-লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী উত্তর চর নেয়ামত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুনাম পুনরুদ্ধারে অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাহার হোসেনের অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয়ের এলাকার নোয়াখালী টু রামগতি আঞ্চলিক সড়কের পাশে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক,যুব সমাজ ও এলাকাবাসী। বুধবার ৩০ অক্টোবর সকাল ১১ টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা বলেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাহার হোসেন ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টি তাঁর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মতই পরিচালনা করেন। নিয়মিত শ্রেণীকক্ষে পড়া লেখা ও স্কুলের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন না হলেও অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে। স্কুলের ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়ার সরঞ্জাম ও সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম স্কুলে ব্যবহার না করে তার বাসায় নিয়ে ব্যবহার করেন, স্লিপ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে শুরু করে সরকারি সকল বরাদ্দ নামমাত্র খরচ দেখিয়ে তিনি ইচ্ছামত ভোগ করে যাচ্ছেন, যা সহকারী শিক্ষকদেরও জানতে দিচ্ছেন না তিনি। তবে এসব কাজে স্কুল কমিটির সদস্যগন বিরুদ্ধিতা করলেও সাবেক সভাপতি এই অনিয়ম বিষয়ে ছিলেন চুপ নিতেন সুবিধা। এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে বারবার অবগত করার পরেও প্রধান শিক্ষক কোন তোয়াক্কা করতেন না। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কমিটির সদস্য সহ এলাকায় বাসী জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। যাহা এখনো তদন্তে প্রক্রিয়াধীন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও উপর মহলে তার লোক থাকার কারণে সেগুলোর কার্যকারিতা হারায়। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাহার হোসেনের পরিবারের লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও প্রশাসনের বড় দায়িত্ব থাকায় তাদের ছত্র ছায়ায় কারণে অভিভাবকরা কিছু বললে তাকে‘দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তাঁর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে দিন দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ হারাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন,স্কুলটি শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে,ছাত্র ছাত্রী সংগ্রহে ও শিক্ষকদের কোন কর্ম তৎপরতা নেই। চলতি বছরের ০৫ ই আগস্ট সরকার পতনের আগের বছরগুলোতে তিনি তার অনুগত স্কুল কমিটি সাজিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত সাবেক অভিভাবক সদস্য সাকায়েত হোসেন লাভু ও জহিরুল ইসলাম বলেন,এই দূর্নীতিবাজ ও অর্থ লোপাট কারী এই প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাহার হোসেন কে অবিলম্বে তাহার দূষ্টান্ত মূলক শান্তি ও বিচারের মুখোমুখিসহ তার বদলীর দাবী করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাহার হোসেন বলেন,দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র স্কুল ও তার সুনামকে বিনষ্ট করতে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে।
তারদাবী যতটুকু অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে বিগত দিনে কিছু অনিয়ম দূর্নীতি কথা স্বীকার করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page