কুতুবপুর গ্রামে আত্নহত্যা,ঋণ ও জুয়ার প্রভাব
নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ-নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে দুখু মিয়া (৬৫) নামে একজন মাছ বিক্রেতা আত্মহত্যা করেছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে বাড়ির পাশে একটা আম গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পান প্রতিবেশী ফেরদৌস মিয়া।এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দুখু মিয়ার আসল বাড়ি পাশ্ববর্তী জুড়াইল গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কুতুবপুরে শশুর বাড়ির পাশে জায়গা কিনে বসবাস করে আসছেন। তার পরিবার সূত্রে জানা যায় তিনি জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন এবং ঋনগ্রস্থ ছিলেন যা তার মানসিক অস্থিরতার প্রধান কারন হিসেবে ধরা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান,ঘটনার দিন দুপুরে ফেরদৌস মিয়া দুখু মিয়াকে ব্যাপক মারধর করেন। দুখু মিয়া এরপর বিচার চাইতে নওপাড়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাজাহারুল ইসলাম মাজু সাহেবের বাড়িতে যান।মাজু সাহেবে ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন এবং দুখু মিয়ার মৃত্যু কে গভীর শোকের সঙ্গে গ্রহন করেছেন। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী জানান।
প্রতিবেশীরা জানান ফেরদৌস একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার বাড়িতে প্রতিদিন জুয়া খেলার আসর বসান,যেখানে দুখু মিয়াও অংশগ্রহণ করতেন। এ বিষয়েই দুখু মিয়া ফেরদৌসের কাছ থেকে ঋন নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার দিন ফেরদৌস টাকা ফেরত চাইলে দুখু মিয়া তা দিতে না পারায় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। যা হয়তো আত্মহত্যার মূল কারন হতে পারে। ফেরদৌসের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি সারা দেন নি।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুখু মিয়ার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
কুতুবপুর এলাকায় এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।অনেকে ফেরদৌস মিয়ার অসাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মূখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন তবে তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন
দুখু মিয়ার আত্মহত্যার ঘটনাটি সামাজিক সমস্যার এক অনন্য নজির।ঋন জুয়া এবং পরিবারিক অশান্তি যেনো তার জীবন কে অশান্ত করে তুলেছিলো। পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে এই ঘটনার প্রকৃত কারন উদঘাটিত হবে বলে আশাবাদী সবাই।