বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে শেখ বসিরের নিয়োগ সর্বশ্রেষ্ঠ !

প্রতিবেদক-সম্পাদকঃ-দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ!!
ডঃ ইউনুস সরকার এযাবৎ কালে যতো নিয়োগ দিয়েছেন সবগুলোর মধ্যে যদি যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা এবং সফলতার বিচার করা হয় তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে শেখ বসিরের নিয়োগ সর্বশ্রেষ্ঠ! জনাব বসিরকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কেন হচ্ছে-কারা করছেন এসব নিয়ে আমি কিছু বলবো না। তবে বসির সম্পর্কে যা জানি তা যদি না বলি তবে নিজের প্রতি জুলুম করা হবে। তাঁর ভাইদের সবাই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং তাদের নিজেদের মধ্যে চমৎকার একটি পারিবারিক সমঝোতা এবং মিল মহব্বত রয়েছে যা বাংলাদেশে বিরল। মরহুম আকিজ উদ্দিনের এক ছেলে সংসদ সদস্য ছিলেন। আরেক ছেলে নাসিরের শ্বশুর এবং শ্যালকও এমপি ছিলেন। যশোর জেলায় এই পরিবারের যে জনপ্রিয়তা, এবং গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে সেক্ষেত্রে দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য সব সময়ই আগ্রহী ছিল এবং এখনো আছে!
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়-সাধারণত দুর্বল প্রার্থীরা দলের নমিনেশনের জন্য ফন্দি ফিকির, দলবাজি এবং দালালী করে। কিন্তু দল সব সময়ই ভালো প্রার্থী খুঁজতে থাকে। সেই দিক থেকে শেখ বসির সব দলের জন্য কাঙ্ক্ষিত এমপি প্রার্থী! তাঁর পক্ষে বিজয়ী হয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া তেমন কোন সমস্যা ছিলো না! কিন্তু তিনি সব সময়ই প্রত্যক্ষ রাজনীতি বিমুখ ছিলেন এবং নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন!
সুতরাং শেখ বসির কেন উপদেষ্টা হতে গেলেন তা আমার মাথায় ধুকছে না! আমি যতোটুকু জানি তা হলো, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য ডঃ ইউনুস একজন সৎ দায়িত্ব শীল এবং সফল ব্যবসায়ী খুঁজছিলেন! অনেককে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন-সবাই দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন! অন্য দিকে দেশের কুখ্যাত কয়েকজন লুটেরা ঐ পদে নিয়োগ লাভের জন্য নানাভাবে তদবির করেছেন । কিন্তু ডঃ ইউনুস ওসবের নিকট মাথা নত করেননি,
শেখ বসিরকে পাট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে । কেউ কেউ এটাকে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বলার চেষ্টা করেছেন। কারন শেখ বসির এবং তাঁর পরিবার দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল পাটকল গুলোর মালিক। যারা সমালোচনা করছেন-তারা হয়তো দেশের পাট শিল্প,পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি এবং পাটের বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন ।আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,বাংলাদেশের সবচেয়ে দেউলিয়া এবং সমস্যা ভারাক্রান্ত মন্ত্রনালয়ের নাম পাট মন্ত্রণালয় এবং এই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদেরকে সবাই করুণার দৃষ্টিতে দেখে এবং সুযোগ পেলে ঠাট্টা মশকরা করে! আপনারা জেনে খুশি হবেন যে,দেশের কোন বাক্তিগত পাটকলের সঙ্গে এই মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন সম্পর্ক নেই। বরং বাক্তিগত খাতে যারা সফল পাটকলের মালিক হয়েছেন তারা মন্ত্রনালয়ের বদদোয়া নিয়েই বেড়ে উঠেছেন। কারন – মন্ত্রনালয়ের সব কল বন্ধ, সীমাহীন দায়দেনা এবং চলতি ব্যয় মেটানোর জন্য তাদেরকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের গালি খেতে হয় এবং খোটা শুনতে হয়-শেখ বসিররা যদি পারেন তবে তোমরা পারোনা কেন! উল্লেখিত অবস্থায় শেখ বসির যদি পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন করতে না পারেন তবে বর্তমানে দ্বিতীয় কোন বাক্তি নেই যিনি এই মন্ত্রনালয়ের যন্ত্রণা দুর করতে পারেন। অন্যদিকে,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি যে ভালো কিছু করতে পারবেন তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই !


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page