বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

মামলায় ব্যবসা বন্ধ করুন

মামলায় ব্যবসা বন্ধ করুন

স ম জিয়াউর রহমান:চট্টগ্রাম জেলা স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফেসবুক লাইভে এসে সুনামগঞ্জে চার আগস্ট সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলা নিয়ে ব্যবসা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন গুলিবিদ্ধ জহুর মামলার বাদীর ছোট ভাই মো.জহুর আলী। পাশাপাশি কারা এই ব্যবসা করছে, তাদের নামও প্রকাশ করেন তিনি। আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সাড়ে ৮ মিনিটের লাইভে এসে তিনি বলেন,আমি মো.জহুর আলী। আপনারা জানেন চার আগস্ট আমি গুলি খেয়েছিলাম। গুলি খেয়ে তিন মাসের উপর হয় আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি কিছু বিষয় সারজিস আলম ভাই সহ সবাইকে জানানোর জন্য লাইভে এসেছি। আপনারা জানেন,ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রায় এক মাস পর সুনামগঞ্জে ৯৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলার বাদী আমার ভাই হাফিজ আহমেদ। মাসুম হেলাল নামের এক সাংবাদিক পুলিশের ওসি খালেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজনের নামে মামলা দেয়ার কথা বলে সারা সুনামগঞ্জের ৯৯ জনের নামে মামলা দিয়ে দিয়েছে। আমাকে গুলি করেছে পুলিশ তাই আমি চেয়েছি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হোক। পুলিশকে আসামী করা হয়েছে ঠিকই,সাথে ৯৯ জনকে আসামী করে একটা ব্যবসা শুরু করা হয়েছে। এখন যাকে মন চায় তাকে জেলে ঢুকানো হচ্ছে। নাম হচ্ছে আমাদের,আমরা মামলা দিয়েছি,আমরা টাকা খাচ্ছি। কিন্তু আমরা শুধু মামলা করার সময় মাসুম হেলাল ৩০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য দিয়েছিল,তাও কেউ এক জন দিয়েছে জানিয়ে আমাকে চিকিৎসা করার জন্য এই টাকা সে তুলে দেয়। শুধু সেই টাকা পেয়েছি,এছাড়া আর কিছু পাই নি। এখন আমাদেরকে সবার শত্রুু বানানো হচ্ছে। জহুর আরও বলেন,গত কয়েকদিন আগে আমার ভাই আদালতে গেলে তাকে তুলে নিয়ে গুম করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। ভাগ্য ভালো যে বিভিন্ন জনের‘কানে’খবর পৌঁছায় ফিরে পেয়েছি। আমাদেরকে যে যেভাবে পারে ব্যবহার করতেছে। আমরা এদিকেও মার খাচ্ছি,ওদিকেও মার খাচ্ছি। যেই ওসি আমাকে গুলি করেছে,যার নামে মামলা হয়েছে তাকে এখনো ধরা হচ্ছে না,সে চাকরি করতেছে। যে আমাদেরকে দিয়ে মামলা করিয়ে কোটি টাকা কামিয়েছে,সে এখন কানাডা চলে যাচ্ছে। সব শত্রু আমাদেরকে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন ঘর থেকে বের হতেও পারি না। আতঙ্কের মধ্যে আছি।
জহুর বলেন,এলাকার সবাই জানে আমার ভাই সহজ সরল। আমার সহজ সরল ভাইকে দিয়ে মামলা করিয়ে মাসুম হেলাল লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে তার রেকর্ডও আছে আমার কাছে। সে একা নয় তার গ্যাং আছে। সে তার গ্যাং সৃষ্টি করে টাকা লুটতেছে আর নাম হইতেছে আমাদের। এই ব্যবসা যেন বন্ধ হয় তার অনুরোধ জানাচ্ছি। অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিক মাসুম হেলাল বলেন,আমি আইনজীবী নই,রাজনীতিবিদও না যে আমি মামলা করাব। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য সহায়তা দিয়েছি,এতটুকুই জানি। এর বাইরে যা অভিযোগ তার কোন প্রমাণ দিতে পারবে না সে। একটা প্রমাণ দিতে পারলে আমি সব অভিযোগ মেনে নেব। তারা তো আপস করতে চেয়েছে। আমি ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে থেকে আমার আদর্শিক জায়গা থেকে না সরায়,আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page