বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উদ্বোধন কারাগার” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নারী কর্মীদের জন্য যেন মরণ ফাঁদ। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কালিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রিকশাচালক বাবার দুই ‘রাজকন্যা’র স্বপ্নপূরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বুশরা ও তৃষা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমি নিয়ে প্রতারণা ভাগ্নের সাথে মামার। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল কালীগঞ্জে জমির মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা অপরাধ ও জঙ্গী উত্থানের অবসান ঘটাতে শেখ হাসিনাকেই চায় বাংলাদেশ আনোয়ারায় গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান আজ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসন ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বললেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান

⁨ইতিহাস কথা বলে বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে এসে প্রাণ হারায় দেড় হাজার ভারতীয় সেনা

⁨ইতিহাস কথা বলে বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে এসে প্রাণ হারায় দেড় হাজার ভারতীয় সেনা

রিপোর্ট:দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ?- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস আপামর বাঙালির অদম্য সাহস ও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের অক্ষরে রচিত হয়েছে। হাজার বছরের মুক্তির স্পৃহা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জন করে বীর বাঙালি। পাকিস্তানিদের দুই যুগের শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে যখন ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু,এরপর প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চলে পাকিস্তানি জান্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। জান্তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে চলতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধ। কিন্তু একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থনে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে নামে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সেনারা। দ্রুত পাকিস্তানি জান্তাদের বিতারণ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে বাঙালিদের উপর গণহত্যা ও ধর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানি সেনারা। ফলে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রায় এক কোটি বাঙালি প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়। মানবতার খাতিরে অসহায় বাঙালিদের পাশে দাঁড়ায় ভারতীয় জনগণ। খেয়ে-পড়ে-চিকিৎসা দিয়ে এই এক কোটি শরণার্থীকে নিরাপদে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় ভারতীয় সরকার। একই সঙ্গে কলকাতার থিয়েটার রোড থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ভর্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পান বাঙালি নেতারা। প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে ভারতের মাটিতে বসেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকেন বাঙালি কমান্ডাররা। শুরুতে গেরিলা স্টাইলে দেশের ভেতরে ঢুকে পাকিস্তানি দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ অংশগুলোতে ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধারা। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব ক্যাম্পে যোগ দিতেন নতুন মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর সেক্টর কমান্ডারদের অধীনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তেন এবং যুদ্ধে অংশ নিতেন। পাকিস্তানিদের দ্বারা বাংলার মাটিতে মানবিক বিপর্যয়ের প্রকৃত তথ্য বিশ্বব্যাপী জানানোর ব্যবস্থা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ফলে ভারতের ওপরও চরম ক্ষুব্ধ হয় পাকিস্তান। ৩ ডিসেম্বর তারা বোমা হামলা চালায় ভারতের মাটিতে। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি সহযোগিতা করতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতীয় বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাদের এই যৌথবাহিনীর নাম দেওয়া হয় মিত্রবাহিনী। যুদ্ধের শেষ দুই সপ্তাহে,বাংলার মাটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানি জান্তাদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমে ১৪২১ জন ভারতীয় প্রশিক্ষিত সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এছাড়াও আহত হন ৪০৫৮ জন সেনা। ধ্বংস হয় ২৪টিা ভারতীয় ট্যাঙ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও ১৩টি। বিমানহানি হয় মোট ১৪টি। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা সীমান্ত থেকে ঢাকা পর্যন্ত সেনাবহর পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন নদী ও ভাঙ্গা সড়কের স্থান মিলিয়ে মোট প্রায় ১০ হাজার ফুট ব্রিজ তৈরি করে। এই যুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকাও অপরিসীম। এই যুদ্ধ-বিজয়ের প্রসঙ্গে উচ্চ-প্রশিক্ষিত ভারতীয় জেনারেলরা উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের। নিজেদের আত্মজীবনীতে তারা লিখেছেন,মুক্তিবাহিনীর গেরিলা অপারেশনগুলো পাকিস্তানিদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসের কারণে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তানিরা,নড়ে গিয়েছিল তাদের ভিত। যেকারণে যুদ্ধের শেষদিকে যখন ভারতীয় সেনারা যখন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সম্মুখ সমরে নামে,তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পাকিস্তানিরা ।ফলে বাংলাদেশের বিজয় তরান্বিত হয়
মুক্তিযুদ্ধে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page