শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থাগিত ॥ ক্ষুভে ফুঁসছে নেতাকর্মীরা॥ প্রতিবাদ সমাবেশ রাজাকারদের পাহারাদার দখলদার ইউনূস সরকারের প্রহসনের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ৫ই আগষ্ট নোয়াখালী,চাটখিল থানা লুটের অস্ত্রে দিয়ে নিজেই নিজের গুলিতে আহত হয়ে মৃতুর ৯ মাস পর আদালতে অভিযোগ =!! ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা মানবাধিকার সংগঠন ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে অগ্নিবীণা ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উৎসব ‘২০২৫ পালিত। মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রির আশায়, গরুর দাম প্রত্যাশিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে ! ফটিকছড়ি জনকল্যাণ পরিষদের পুনর্গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটি প্রথম সভা

ইঁদুরের গর্ত থেকে সংগ্রহ ধানে ৬ মাসের ভাতের জোগান হয় আয়মনার

ইঁদুরের গর্ত থেকে সংগ্রহ ধানে ৬ মাসের ভাতের জোগান হয় আয়মনার

সাগর হাসান,জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী।-ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করে ৬ মাসের ভাতের জোগান হয় আয়মনার। স্বামী নেই। একমাত্র ছেলে রয়েছে, সে-ও থাকে আলাদা। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আয়-রোজগার বলতে দিনমজুরি ও ইঁদুরের গর্ত থেকে সংগ্রহ করা ধান। এই ধান বিক্রির টাকা দিয়ে চলে বছরের প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস।

৫৮ বছর বয়সী আয়মনা বেওয়া রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রতি বছর আমন ধান কাটা শেষ হলেই নেমে পড়েন ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান কুড়াতে। সাপ-পোকামাকড়ের ভয় না পেয়েই ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করেন।

উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আমন ধান কাটছেন কৃষকেরা। কাটা ধান শুকানো হচ্ছে রোদে। ধানসহ খড় শুকিয়ে গেলে জমি থেকে সেই ধান নেওয়া হচ্ছে ঘরে।আয়মনা বেওয়ার কাজ এখন শুরু, আর আয়মনার বসে থাকার সময় নেই।আগামী ছয় মাসের খোরাক গুছিয়ে তুলতে হবে ঘরে। আর সেই খোরাক তুলতে হবে ইঁদুরের গর্ত থেকেই। খুন্তি কোদাল, চালন, বস্তা নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটছেন এ মাঠ থেকে ও-মাঠে।খুঁজে ফিরছেন ইঁদুরের গর্ত।

দরিদ্র আয়মনা বেওয়া বলেন, স্বামী নেই, ছেলেও আলাদা। নিজে কাজ করি, নিজে খাই। প্রতিদিন সকালে মানুষের বাড়িতে কাজে যাই। আমন ধানের মৌসুম এলে কাজ শেষ করে বিকেলে মাঠে গিয়ে ইঁদুরের গর্ত খুঁজি। গর্ত থেকে রাত পর্যন্ত ধান কুড়াতে থাকি। ইঁদুরের গর্ত থেকে কুড়ানো ধানে আমার বছরের অর্ধেক পার হয়ে যায়।

এ ছাড়াও এ ধান দিয়েই শীতের পিঠাও খাওয়া হয়। আর বছরের বাকি অর্ধেক দিনমজুর কাজ করেই চলে একার সংসার। ইঁদুরের গর্তে সাপ পোকা-মাকড়ের ভয় পায় কি-না জানতে চাইলে আয়মনা বেওয়া জানান, পেটের খিদেই সব ভয় উড়ে যায় তার।

শালঘরিয়া গ্রামের কৃষক রেন্টু মিয়া বলেন, ধান কাটার পর মাটিতে পড়া থাকা ধান অনেকেই সংগ্রহ করেন।ইঁদুরের গর্ত থেকেও সংগ্রহ করেন। এতে আমরা বাধা দিই না।

দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী বলেন, খেতে এভাবে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তবুও অনেকে পেটের তাগিদে এ কাজ করে থাকেন। সতর্ক ও নিরাপদ না থাকলে বিপদ হতে পারে।

দৈনিক বাংলার মুক্তকণ্ঠ পরিবারের পক্ষে থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ধণ্যাট্ট ব্যাক্তিদের আসার বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। মানবিক সহায়তা নিজেকে অন্য এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page